এবার মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ে প্রলোভন দেখিয়ে গাজীপুর থেকে সাভার ডেকে এনে রাতভর আটকে রেখে এক মডেল তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই তরুণীর সঙ্গে আসা তার বান্ধবীকে অন্য একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে সাভার পৌর এলাকার সিটি সেন্টারের পিছনে লিজেন্ড কলেজ ভবনের ২য় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশ ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ ঘটনার মূল হোতা ধর্ষক লিটন আলী মণ্ডলকে (৩০) গ্রেফতার করতে না পারলেও তার দুই সহযোগী ওই ভবনের দুই গার্ডকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দিনাজপুর জেলার বিরল থানা এলাকার সাইফুর ইসলামের ছেলে মোকারম মিয়া (১৭) ও কুড়িগ্রাম জেলার বুড়িঙ্গামারী থানা এলাকার মিজানুর রহমান (২৬)।
ওই তরুণী জানান, তিনি ও তার বান্ধবী একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে মডেল হিসেবে কাজ করেন। তাদের সঙ্গে ৩ মাস পূর্বে ফেসবুকে সাভারের জনৈক লিটন আলী মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে লিটন মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের সুযোগ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে তাদেরকে মোবাইলে ফোন করে সাভার আসতে বলে। পরে তারা গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকা থেকে সন্ধ্যায় সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং রাত ১০টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছায়। এ সময় লিটনকে মোবাইলে ফোন করলে তিনি তাদের সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে কবির হোসেনের মালিকানাধীন বাড়ির লিজেন্ড কলেজের ভবনের ২য় তলায় অফিসে নিয়ে আসে। পরে লিটন তার বান্ধবীকে একটি রুমে নিয়ে আটকে রাখে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আরেকটি রুমে নিয়ে রাত ভর ধর্ষণ করে।
পরে শুক্রবার ভোরে পাশের রুমে আটকে রাখা ওই তরুণীর বান্ধবীর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে পুলিশের সহযোগিতায় ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করে। কিন্তু তার আগেই ধর্ষক লিটন কৌশলে পালিয়ে যায়।
ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক এ এফ এম সাহেদ জানান, লিটন ঝিনাইদহ জেলার সদর থানা এলাকার সমসের আলী মণ্ডলের ছেলে। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিটনকে প্রধান আসামিসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিত তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষা এবং আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। লিটনকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment