শীতের বিকেলে মুচমুচে পাউরুটির পাকোড়া আর এক কাপ চা। এর চেয়ে ভালো বিকেলের নাশতা আর কি হতে পারে! শুধু জ্যাম/মাখন দিয়ে পাউরুটি না খেয়ে, পাউরুটির দিয়ে তৈরি করতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কিছু। চলুন জেনে নিই, পাউরুটির পাকোড়া বানাতে কী কী লাগবে আর কীভাবে পরিবেশন করবেন মজাদার এই খাবারটি।
উপকরণ
- পাউরুটি (৪/৬ পিছ )
- ১ কাপ ধনিয়া পাতা
- ২/৩ টি কাঁচা মরিচ
- ১ কোয়া রসুন ( বড় রসুন )
- লেবুর রস এক টেবিল চামচ
- বিট লবন স্বাদ মতো
- সেদ্ধ করা বড় আলু ২ টি
- ২ টি বড় পেঁয়াজ
- লবণ স্বাদ মতো
- সামান্য জিরা গুঁড়া
- গরম মশলা গুঁড়া পরিমান মতো
- চাট মশলা
- বেসন ১ কাপ
- আস্ত জিরা হাফ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ
- সামান্য হলুদ গুঁড়া
- গোল মরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ
- আদা-রসুন বাটা এক চা চামচ
প্রণালী
– প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ, রসুন, লেবুর রস, বিট লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে গ্রিন সস বানিয়ে নিন। পরিমাণে বেশি বানিয়ে রাখতে পারেন এই সস, পাকোড়ার সাথে পরে খেতে পারবেন।
– এরপর সেদ্ধ করে রাখা আলু ভর্তা বানিয়ে নিন। বেরেস্তা করে রাখা পেঁয়াজ , একটি কাঁচা মরিচ, চাট মশলা( স্বাদ মতো), গরম মশলা গুঁড়া, সামান্য জিরা গুঁড়া একসাথে মাখিয়ে নিন এবং এরপর ভর্তা করে রাখা আলুর সাথে সব মিশিয়ে নিন।
– এখন বেসনের সাথে লাল মরিচের গুঁড়া , হলুদের গুঁড়া , গোল মরিচের গুঁড়া , স্বাদ মতো সাদা লবণ, আস্ত জিরা, আদা-রসুন বাটা এবং এক টেবিল চামচ পানি দিয়ে বেসনের পেস্ট বানিয়ে নিন।
– এরপর পাউরুটি কোনাকুনিভাবে কেটে নিন , এবার এতে গ্রীন সস জ্যাম যেভাবে লাগায় সেভাবে লাগিয়ে নিন। যারা ঝাল কম খান , তারা গ্রিন সস কম ব্যবহার করতে পারেন। এখন আগে তৈরি করে রাখা আলুর পুর গ্রিন সসের উপর লাগিয়ে নিন। এখন আলুর পুরের উপর আরেক পিছ পাউরুটি দিন। অনেকটা স্যান্ডউইচ এর মতো করে পুর দিতে হবে।
– পুর দেয়া পাউরুটি বেসনের পেস্টে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এখন গরম তেলে ভেজে নিন, পাউরুটি গুলো হালকা বাদামি রঙের হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন পাউরুটি।
হয়ে গেল আপনার মুচমুচে পাউরুটির পাকোড়া। এখন গরম গরম পাকোড়া পরিবেশন করুন আগেই তৈরি করে রাখা গ্রিন সসের সাথে অথবা আপনার পছন্দের কোন চাটনির সাথে।
ছবি – গুডফুডরেসিপি ডট কম
রেসিপি – তাবাসসুম বিন্তী
No comments:
Post a Comment