এশিয়ার মধ্যে নারী ধূমপায়ীদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ধূমপানের জন্য অন্যতম একটি দেশ। এখানে ধূমপানে অভ্যস্ত নেই এমন পুরুষ হাতে গোনা খুব কম। তাই বলে নারীরা যে ধূমপান করে না, তা কিন্তু নয়। তারাও করে তাই বলে একেবারে নারী ধূমপায়ীর তালিকায় যে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান দখল করবে তা হয়তো কেউ ভাবেও নি। তবে এমনটাই ঘটেছে।
ক্রোয়েশিয়া ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্রোয়েশিয়া। পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া এই তালিকায় ক্রোয়েশিয়ার আগে অবস্থান করছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রতিবছর শুধুমাত্র ধূমপানের কারণে ক্রোয়েশিয়ার তিন হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ২২টি ধূমপায়ী দেশের তালিকায় ক্রোয়েশিয়া বিশ্বে সপ্তম। এরপরেই আছে পোল্যান্ড ও রোমানিয়া।
ক্রোয়েশিয়া ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেলথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রোয়েশিয়ার ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে অন্তত ৩১ শতাংশ নাগরিক ধূমপান করে। এ হিসেবে দিনে প্রত্যেকেই ১৬টি সিগারেট ধূমপান করে। এজন্য প্রতিমাসে মাথাপিছু ৭০ ইউরো দরকার হয় তাদের।
ধূমপানে অনেক ক্ষতি জেনেও মানুষ আসক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু মরণব্যাধি এই জিনিসটাকে কেউ ছাড়তে পারে না। আমাদের নিজেদের এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত।
জানা যায়,এই ধূমপানের মাধ্যমে সিওপিডি বা ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ শ্বাসতন্ত্রের একটি জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এই রোগ ধূমপায়ীদের বেশি হতে দেখা যায়। আজ ১৭ জানুয়ারি, এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৩ হাজারতম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এটি শ্বাসনালির এক ধরনের প্রদাহজনিত রোগ। এই প্রদাহজনিত রোগটি আর ভালো হবে না। একবার হলে আর আগের অবস্থায় ফিরে আসবে না। এটি ধীরে ধীরে আরো খারাপের দিকে যাবে। এবং তাঁর দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট বাড়বে।
সাধারণত যাঁরা ধূমপায়ী, তাঁদের এই রোগ হয়। যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদেরই বেশি হয়। এ ছাড়া আরো কারণ রয়েছে। আমাদের মায়েরা যাঁরা গ্রামে আছেন, তাঁরা অনেক সময় লাকড়ি দিয়ে রান্না করেন। চুলায় যখন ফুঁ দিতে থাকেন, তখন কিছু ধুলা শ্বাসনালিতে চলে আসে। তাঁরা ধূমপায়ী নন, তবে ওই যে ধুলাগুলো খাচ্ছেন, তাই তাঁদের সিওপিডি হতে পারে। আর সিওপিডি মানে একটি দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসনালির প্রদাহ। যেটা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে না। যাঁদের বয়স বাড়ে, সাধারণত চল্লিশের পরে হয়। অ্যাজমা কিন্তু আগেই যেকোনো বয়সে হতে পারে।
সিওপিডি রোগটি শুরু হলে ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। মানে তাঁর শ্বাসকষ্ট, কাশি, দম নিতে কষ্ট হওয়া, কফ পড়া ইত্যাদি জিনিস বেশি হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment