Sunday, December 13, 2015
সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক ফারুক নিহত
রাজধানীর কাকরাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ফারুক মারা গেছেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১টায় রমনা থানাধীন কাকরাইল মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা একটি মালবাহী ট্রাক ফারুককে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরে এক সিএনজিচালক তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের আত্মীয় এমদাদুল হক জানান, ফারুক মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সি ব্লকের ৩০/১৯ নম্বর বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তিনি ব্যক্তিগত কাজে কাকরাইল এলাকায় গেলে রাস্তা পার হওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। তার পিতার নাম গাজিবুর রহমান। গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া থানার ডিমালেখা এলাকায়। জানা গেছে, নিহত ফারুক দৈনিক সমকাল ও কালের কন্ঠের প্রধান প্রতিবেদক, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ও কালেরকন্ঠের উপ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১লা জানুয়ারি নতুন একটি পত্রিকায় তার যোগদান করার কথা ছিল। তিনি ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন। তাকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। রমনা থানার এসআই মো. মহিউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মালবাহী ট্রাকটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এদিকে গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তার দুই দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লাশ আনা হলে তার সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ইউনিটির পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটির সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একের এক সাংবাদিক নিহত হচ্ছেন। অথচ দুর্ঘটনার সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হচ্ছে না। এটা মেনে নেয়া যায় না। তিনি অবিলম্বে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ট্রাকের চালককে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, শাহেদ চৌধুরী ও মো. মাহফুজ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment