দিল্লিতে নির্ভয়া ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ‘কিশোর’এর মুক্তি আটকাতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনটি খারিজ হয়ে গেছে।
সোমবার আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা আপনাদের উদ্বেগের বিষয়টি বুঝতে পারছি। কিন্তু বর্তমান আইনের কারণে আমাদের হাত বাঁধা। (বর্তমান কিশোর আইনে) তিন বছরের পর আটক রাখার মেয়াদ বাড়ানো যাবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দেয়া আছে। আইন অনুযায়ী তিন বছরের পর আটক রাখার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব না। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত একটি আবেদন খারিজ করে দেয়।
শুক্রবার বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামীর করা ওই আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে আমাদের মনে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আইন অনুযায়ী, ওই কিশোরকে ২০ ডিসেম্বরের পর সংশোধনাগারে রাখা সম্ভব না।
হাইকোর্টের ওই রায়ের পরদিন দিল্লির নারী কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল আসামির মুক্তি আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে বন্ধুর সঙ্গে বাসে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বাসচালক ও কর্মীদের নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে রাস্তায় ফেলে দেয়ার পর হাসপাতালে কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় সে। ‘নির্ভয়া’তার ছদ্মনাম।
পরদিন বাসচালক রাম সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কয়েকদিনের মধ্যে বাকি পাঁচ জনকেও আটক করা হয়। বিচার চলাকালে রাম সিং তিহার কারাগারে আত্মহত্যা করে। বাকি চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঘটনার সময় এক অভিযুক্তের বয়স ১৮ বছরের কম থাকায় কিশোর আইনে তার বিচার হয়। ভারতে কিশোর আইনে সর্বোচ্চ সাজা তিন বছরের কারাদণ্ড। ফলে তিন বছর কারাভোগের পর রবিবার কিশোর সংশোধনাগার থেকে সে মুক্তি পায়।
No comments:
Post a Comment