সিএন টাওয়ার, টরেন্টো
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ কানাডার টরেন্টোর সিএন টাওয়ার। গত ত্রিশ বছর ধরে এই স্থানটি রোমাঞ্চকর স্থান হিসেবে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। এক হাজার ৮শ’ ১৫ ফুট উঁচু এ টাওয়ারটি বিশ্বের তৃতীয় উঁচু টাওয়ার। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বছরে প্রায় দুই লাখ পর্যটক এখানে আসেন। তাদের মধ্যে অনেক সাহসী পর্যটক টাওয়ারের কাঁচের স্বচ্ছ মেঝেতে হাঁটার ও অনেকেই টাওয়ারের প্রান্তের বৃত্তাকার চক্রের ঘুর্ণিতে নিজেদের বেল্ট দিয়ে বেঁধে নিচের নগরীকে দেখার স্মৃতি নিয়ে যান এখান থেকে। বলে রাখা ভালো, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে উচুঁ ঘূর্ণি।
পালপিট রক, ফরস্যান্ড, নরওয়ে
সবাই এটিকে প্রেইকস্টোলেন নামেই চেনে। খাঁড়া উঁচু এই প্রস্তরখণ্ডের ওপরের অংশ একেবারেই সমান্তরাল। এর উচ্চতা এক হাজার ৯শ’ ৮২ ফুট। এখানে ঢুকতে হলে পর্যটকদের দুই মাইলেরও বেশি পায়ে হেঁটে যেতে হবে। সমুদ্র মোহনায় অসম্ভব সুন্দর এ প্রস্তর শিলাটি হিমবাহে এঁকেবেঁকে গেছে। চতুর্ভূজ আকৃতির এ স্থানটি নরওয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। প্রতি বছর এখানে দুই লাখেরও বেশি পর্যটক সমবেত হন।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন স্কাইওয়াক, অ্যারিজোনা
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অ্যারিজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বিপজ্জনক স্থান হিসেবে পরিচিত। তবে ২০০৭ সালে হুয়ালাপাই ভারতীয় উপজাতীয় এলাকার অন্তর্ভুক্ত জমির ওপর গড়ে ওঠা এই স্কাইওয়াকের কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশাল ঘোড়ার খুর আকৃতির এ সেতুটি গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চার হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
কর্কোভাদো, রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল
রিও ডি জেনিরোর মধ্যবর্তী এ পাহাড়টি ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের জন্য বিখ্যাত। যিশুখ্রিস্টের বিশাল ভাস্কর্য উপকূলবর্তী এই শহরটিকে করেছে আরও বিখ্যাত। এখানে আরও রয়েছে মনোরম আটলান্টিক উপকূল ও পাও দে আক্যুকার (সুগারলোভ পর্বত)। দুই হাজার ৩শ’ ২৯ ফুট উঁচু কর্কোভাদো পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছাতে হলে প্রথমে বাস বা ট্রামে চড়ে ও পরে কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে যেতে হবে।
ফাইভ ফিঙ্গারস, অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ার ডাকস্টেইন পর্বতের ওপরে যেন এক টুকরো ঝুলন্ত বারান্দা। দেখতে হাত ও হাতের আঙুলের মতো বলেই বুঝি এর নাম ফাইভ ফিঙ্গার্স। এটিই আল্পসের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন স্থান। এটি এক হাজার ৩শ’ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। ফাইভ ফিঙ্গার্সে পৌঁছাতে হলে ক্রিপেনস্টাইন স্টেশনের ক্যাবল কারে চড়ে ২০মিনিটের পথ পাড়ি দিতে হবে।
ভিক্টোরিয়া পিক, হংকং
ভিক্টোরিয়া পর্বতটি হংকংয়ের সবচেয়ে উঁচু পর্বত। এর উচ্চতা এক হাজার ৮শ’ ১১ ফুট। ১২০ বছর ধরে এই স্থানে ভ্রমণের জন্য ট্রাম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখানকার বহুতল ভবনগুলো দিনের বেলায় যেমন আকর্ষণীয়, রাতের বেলায়ও তেমনি অদ্ভুত সুন্দর।
নাইফ এজ পয়েন্ট, জাম্বিয়া
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের কাছাকাছি নাইফ এজ ব্রিজটি বিশ্বের সপ্তম প্রাকৃতিক বিস্ময়ের মধ্যে একটি। এই জলপ্রপাতটি দক্ষিণ আফ্রিকার জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে সীমানার মধ্যবর্তীতে রয়েছে। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে প্রশস্ত ও দীর্ঘ জলপ্রপাত। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের ৫শ’ ৪৬ ঘনমিটার পানি নিচে একটি জলাশয়ে গিয়ে জমা হয়।
এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, নিউ ইয়র্ক
এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং সমগ্র পৃথিবী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আকাশচুম্বী ভবন। ম্যানহাটনে অবস্থিত এ ভবনটির উচ্চতা এক হাজার ২শ’ ৫০ ফুট। ১০২ তলা ভবনের ৮৬তম তলায় রয়েছে নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে উঁচু অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।
টোকিও স্কাইট্রি, জাপান
২০১২ সালে সম্পন্ন হওয়া টোকিও স্কাইট্রি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা টাওয়ারের মর্যাদা পায়। এর উচ্চতা প্রায় দুই হাজার ৮০ ফুট। টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত এ টাওয়ারটি বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্প্রচার কেন্দ্রও বটে। সম্প্রচার কেন্দ্র ছাড়াও এ ভবনে রেস্তোরাঁ, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, বিনোদন কেন্দ্র ও কেনাকাটার সুবিধাও রয়েছে। এই ট্রাইপডটি মাটি থেকে ৩৫০ মিটার ওপরে অবস্থিত।
আইগুলি দ্যু মিদি, চামনিক্স, ফ্রান্স
- আল্পসের ফ্রেঞ্চ ব্লাঙ্ক সীমায় আইগুলি দ্যু মিদিতে পৌঁছাতে হলে চড়তে হবে ক্যবল কারে। ১২ হাজার ৬’শ পাঁচ ফুট উচ্চতায় দক্ষিণ পূর্ব চামনিক্সে রয়েছে ক্যাফে ও উপহারের দোকানও। প্রতি বছর এখানে পর্যটকের সংখ্যা হয় প্রায় পাঁচ লাখ।
No comments:
Post a Comment