মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সেবা এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হচ্ছে। লাইসেন্সসহ যাবতীয় কার্যক্রম দেখভাল করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এবার তা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, মোবাইলের মাধ্যমে সব ধরনের আর্থিক (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল) সেবা কার্যক্রম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এখন তাদের লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
টেলিযোগাযোগ বিভাগ বলছে, আইন অনুসারে টেলিযোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যে কোনো সেবা দিতে হলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনায় টেলিযোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সেবা দেওয়া হলেও এখানে কখনই কমিশনের অনুমোদন নেওয়া হয়নি বা সরকারের নীতিমালা প্রণয়ন কার্যক্রমে তাদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি।
এর মধ্যে মোবাইল ফোন অপারেটর ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। পরে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়নে কমিশনের একজন কমিশনারকে প্রধান করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংসহ এ বিষয়ক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আইন অনুসরণ করলে বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। সে কারণেই তারা নতুন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এক্ষেত্রে ব্যাকিং সংক্রান্ত বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখলেও টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত দিকগুলো নিশ্চয়ই বিটিআরসি দেখভাল করবে।
বর্তমানে দেশে প্রতিদিন সাড়ে চারশ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে। প্রতি বছর এ খাতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ১০ শতাংশ। এখন কোনো কারণে এ খাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তখন আরও অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন শওকত মোস্তফা। এ কারণে টেলিযোগাযোগ ইস্যুতে বিটিআরসির সংশ্লিষ্টতা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকও সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে নীতিমালায় বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে।
শওকত মোস্তফা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিবর্তনের যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি অপারেটরগুলো একদমই মানতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানান।
No comments:
Post a Comment