সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় লাতাকিয়া প্রদেশের শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর রাবিয়া দখলে নেওয়ার দাবি করেছে সরকারি বাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে বিবিসি বলছে, চারবছর ধরে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রাবিয়া শহরটি সেনাবাহিনী দখলে নিয়েছে।
লাতাকিয়া প্রদেশে আলাউয়িত সম্প্রদায়ের শক্ত অবস্থান রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ নিজেও এই সম্প্রদায়ের মানুষ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, রাবিয়া পুনর্দখলে রুশ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমান জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি গ্রাম দখলের পর শহরটির তিনদিক ৪৮ ঘণ্টা ঘিরে রেখেছিল প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী।
তিনি আরো বলেন, রুশ বিমান হামলা ‘প্রয়োজনীয় ভূমিকা’ পালন করেছেন। অবজারভেটরি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, রুশ কর্মকর্তা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সহায়তায় সরকারি বাহিনী দারোশা এবং আল-রাওদা গ্রাম দখল করে। এ সময় আল-নুসরা ফ্রন্টের সঙ্গে বড় ধরনের লড়াই হয়েছে বলেও অবজারভেটরি জানিয়েছে।
আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আল-নুসরা ফ্রন্ট এবং বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাবিয়া শহরটি দখল করে রেখেছিল। দাবি অনুযায়ী রাবিয়া যদি সত্যিই সরকারি বাহিনীর দখলে এসে থাকে তবে তা আসাদ সরকারের জন্য একটি বড় সাফল্য। দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি বলছে, রাবিয়া হাতছাড়া হওয়ায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের উত্তরাঞ্চল থেকে রসদ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ব্যবস্থা বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি সিরিয়ার সরকারপন্থি বাহিনী তুর্কি সীমান্তের দিকেও অভিযান চালিয়ে অগ্রসর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment