যে শিশুরা খেতে চায় না তাদের আপেলের জুস দিলে উপকার মিলবে। এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়। এ সমস্যার নাম গ্যাস্ট্রোএনটেরিটিস বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এতে শিশুর ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তেমন সমস্যা হয় না এবং কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ৫-৭ দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি হয়। কিন্তু এ সমস্যা মিটে গেলেও শিশুদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়ে যায়। কাজেই তাদের এ সময় প্রচুর তরল খাওয়া উচিত। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির বিজ্ঞানী ও প্রধান গবেষক ড. স্টিফেন ফ্রেডম্যান জানান, তবে এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে অভিভাবকরা সাধারণত ওরাল রিহাইড্রেশন সল্যুশন দিয়ে থাকেন। এটি সাধারণত চিনি ও লবণের অভাব পূরণ করে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এ সমস্যায় যদি আধা গ্লাস আপেলের জুসও দেওয়া হয়, তবে দারুণ উপকার মেলে। আপেলের জুস মিশ্রিত পানিও শিশু দেহে ইলেকট্রোলাইট নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর। মাঝারি ধরনের গ্যাস্ট্রোএনটেরিটিস এবং ডিহাইড্রেশন রোধে এর কার্যকারিতা বেশ ভালো। আপেল জুস মিশ্রিত পানি ও শুধুমাত্র আপেল জুস ৬৪৭ জন শিশুকে খাওয়ানো হয়। এদের সবার বয়স ৬-৬০ মাস। এদের সবারই গ্যাস্ট্রোএনটেরিটিস রয়েছে। দেখা গেছে, টানা ৭ দিন খাওয়ানোতে শিশুদের সমস্যার লক্ষণ খুব দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছে। যে দলটি পানি ও জুসের মিশ্রণ খায়, তাদের ২৫ শতাংশের সুস্থতায় বাড়তি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। আর যারা কেবলমাত্র আপেল জুস খায় তাদের ১৭ শতাংশের আরো চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। এই পানীয়তে শিশুদের ডিহাইড্রেশন ৯ শতাংশ থেকে ২.৫ শতাংশে নেমে আসে। ২৪ মাসের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে আপেল জুস দারুণভাবে কার্যকর হয়। ড. ফ্রেডম্যান আরো জানান, কাজেই যে শিশুরা গ্যাস্ট্রোএনটেরিটিস ও ডিহাইড্রেশনে ভুগছে তাদের আপেল জুস চিকিৎসার অন্যতম উপায় হতে পারে। ইলেকট্রোলাইড সল্যুশন অপেক্ষা এটি অনেক বেশি কার্যকর। গবেষণাপত্রটি 'জামা'র অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল
Wednesday, May 4, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment