বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মারকুটে ব্যটসম্যান তামিম ইকবাল ইনজুরিতে আক্রান্ত। মাঠের বাইরে থাকাটা ঠিকে ভাল লাগছে না বুম বুম তামিমের। ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজ খেলতে আসবে আর তামিমের ব্যাট সেখানে ঝলসে উঠবে না তা কি হয়? তাই চিকিৎসক সবুজ সংকেত দিলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই মাঠে ফিরতে চান এই ড্যাশিং ওপেনার।
দীর্ঘদিন যাবত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে চলতি মাসে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দিয়ে টাইগারদের শেষ ১১ মাসে কোন একদিনের ম্যাচ না খেলার খরা কাটতে যাচ্ছে। সিরিজটিকে সামনে রেখে তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ভক্তদের পাশাপাশি ক্রিকেটাররাও মুখিয়ে আছে এ সিরিজের জন্য।
অনুশীলনের সময় আঙ্গুলে চোট পাওয়া টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ব্যতিক্রম নন। মুখিয়ে আছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মাঠে নামতে। যদিও আঙ্গুলের চোট আসন্ন সিরিজে তার খেলার সম্ভাবনাকে শংকার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
ক্যাচিং অনুশীলনে বল তালুবন্দী করতে গিয়ে আঙ্গুলে পাওয়া চোট, ৩ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেয় তামিম ইকবালকে। তারপরও আফগানিস্তান সিরিজের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তামিমকে। আর এটাই আশার আলো দেখাচ্ছে তামিম ইকবালকে। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে আফগানিস্তান সিরিজটা খেলতে পারবো। অন্তত আমি আশাবাদী। খুব খেলতেও চাই।”
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে খেলার আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে কোনপ্রকার জটিলতা ছাড়া চার সেশন ব্যাটিং অনুশীলন করতে পারলেই হবে জানিয়ে তামিম বলেন, “২১ সেপ্টেম্বরের আগে যদি নেট করতে পারি আর কোনো অসুবিধা না হয় তাহলে আমি খেলবো।”
দীর্ঘদিন যাবত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজের আগে নিজেদের সঠিকভাবে প্রস্তুত করে নিতে এ সিরিজের গুরুত্ব অসীম মনে করিয়ে দিয়ে তামিম আরো বলেন, “ইংল্যান্ড সিরিজটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই রকম একটা সিরিজের আগে যে কেউই সর্বোচ্চ প্রস্তুতিটা সেরে নিতে চাইবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তত গোটা দুয়েক ম্যাচও যদি খেলতে পারি। সে আপনি রান করুন কিংবা ব্যর্থ হন, লম্বা বিরতির পর এরকম একটি সিরিজ আপনার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে খুব কাজে দেয়।”
No comments:
Post a Comment