মানুষের সাধারণ ধারণা, জাপানিরা সবচেয়ে বেশি বছর বাঁচে। আর তথ্যও তাই বলছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শতায়ু মানুষদের সিংহভাগই জাপানের বাসিন্দা। তবে ইতালির একটি গ্রামের কাছে জাপানিরাও পাত্তা পাবে না। কারণ, এই গ্রামের প্রতি তিনজনে একজন শতায়ু।
ভূমধ্যসাগরের তীরে ইতালির নেপলসের আকিয়ারোলি গ্রামে মেরেকেটে হাজার খানেক লোকের বাস। তারমধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ শতবর্ষ পার করে ফেলেছেন অনায়াসে। অর্থাৎ প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন এই গ্রামে শতায়ু ব্যক্তি রয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চিকিৎসক অ্যালান মাইসেলের মতো একদল গবেষক এই আকিয়ারোলি গ্রামের বাসিন্দাদের উপরে গবেষণা চালান। তারা কী খান, কেমন জীবনযাপন করেন ইত্যাদি নিয়ে। তাতে দেখা গেছে, জিনের প্রভাব তো রয়েছেই, পাশাপাশি সুখাদ্যগ্রহণও এই দীর্ঘায়ু হওয়ার পিছনে অন্যতম বড় কারণ।
গবেষকেরা দেখেছেন, আকিয়ারোলি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দুটি জিনিসে খুব মিল। প্রথমত, তারা আনকোভি নামে একটি সামুদ্রিক মাছ খুব খান। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি বাড়িতেই প্রায় সব খাবারেই রোজমেরির পাতা ব্যবহার করা হয়।
বস্তুত বয়সকে দীর্ঘতর করার ক্ষেত্রে এই দুটি জিনিস ভালো কাজ করে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আনকোভি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্ট ভালো রাখে। এবং দ্বিতীয়ত রোজমেরি যা শরীরের যেকোনও রকমের প্রদানকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শহর থেকে খানিক দূরের এই সুসজ্জিত গ্রামের জীবনযাত্রা তত গতিশীল নয়। এখানে মানুষ শরীর সুস্থ রাখতে দৌড় বা জগিং করেন না। এমনকি, সমুদ্রে সাঁতারও কাটেন না। তারা ভালো খাবার খান আর আনন্দে থাকেন। আর এটাই বেঁচে থাকতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


No comments:
Post a Comment