পাত্রের পছন্দ ছিল পাত্রীকে। পাত্রীও হবু বরকে অপছন্দ করেনি। তবে গোলযোগ বাধল পোষ্যকে ঘিরে। পাত্র নারাজ পাত্রীর পোষ্যকে মেনে নিতে। আর যে পাত্র তার পোষ্য মেনে নেবে না তার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে তীব্র আপত্তি পাত্রীর। ফলে শেষমেশ ভেঙেই গেল বিয়েটা! ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ব্যাঙ্গালুরে।
পাত্রীর নাম করিশ্মা ওয়ালিয়া। তিনি দেখাশোনা করে বিয়ে করতে চলেছিলেন এক যুবকের সঙ্গে। যুবকটি দেখতে-শুনতে ভালো, কথাবার্তাও ভদ্রসভ্য। তবে করিশ্মা যখনই তাকে বললেন যে, বিয়ের পরে তিনি নিজের পোষ্যকে নিয়েই শ্বশুরবাড়ি যাবেন তখনই বাঁধল গণ্ডগোল।
পাত্র হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়ে দেন, এটা করা ঠিক হবে না। নতুন বউয়ের সঙ্গে একই বিছানায় কুকুরকে নিয়ে তিনি সংসার করতে পারবেন না। এমনকি, কুকুরের ব্যাপারে তার মায়েরও অ্যালার্জি রয়েছে বলে পাত্র জানিয়ে দেন করিশ্মাকে।
এসব হোয়াটসঅ্যাপে কথা হওয়ার সময়ই একেবারে সরাসরি বিয়ে ভেঙে দেন করিশ্মা। জানিয়ে দেন, বিয়ে ভেঙে যাওয়া তিনি মেনে নিতে পারেন, তবে পোষ্যকে ছেড়ে যাওয়া তিনি মানতে পারবেন না।
এসবের পরে করিশ্মার মা-বাবা খানিক মেয়েকে বোঝালেও পরে তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়ের সঙ্গ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন করিশ্মা।
তার আরও দাবি, পাত্র এখনও মেসেজ করে বিষয়টি হালকা করতে আবেদন জানিয়ে চলেছেন। তবে তাতে সাড়া দেননি করিশ্মা। কারণ, তিনি পোষ্যকে সঙ্গে নিয়েই থাকতে চান। বিয়ে করলেও সঙ্গে নিয়ে যেতে চান প্রিয় লুসিকে।
No comments:
Post a Comment