ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে অবস্থিত ইপানেমা বীচের নামকরণ করা হয়েছে স্থানীয় আদিবাসীদের ভাষায়। তাদের ভাষায় ইপানেমা মানে ‘খারাপ পানি’। কিন্তু নামে খারাপ হলেও পৃথিবীর দর্শনীয় বীচগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধাসহ সাগর ভ্রমনে রয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যের প্যাকেজ সুবিধা। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো বীচ ভলিবল। যেকেউ ইচ্ছে করলে বীচ ভলিবল দলে নাম লিখিয়ে হয়ে যেতে পারেন ভলিবল খেলোয়ার।
কার্নিভাল
প্রতিবছর রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে কার্নিভালকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই মিলিয়ন লোকের সমাবেশ হয়। ব্রাজিলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আদিবাসী গোষ্ঠি তাদের নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে আনন্দ উদযাপন করে। এই কার্নিভাল মূলত ১৮৫০ সাল থেকে শুরু হয়। পাঁচ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অংশগ্রহন করে। বিশ্বের অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষের কাছে কার্নিবাল এক আনন্দের নাম যেন।
ন্যাশনাল পার্ক
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুরে অবস্থিত ন্যাশনাল পার্ক। আমাজান বনের পাশে হওয়ায় ন্যাশনাল পার্কে রয়েছে হরেক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণবৈচিত্র্য। এই পার্কের বাসিন্দাদের মূল পেশা হলো ধীবরবৃত্তি। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো পুরো পার্কে নেই কোনো সোজা রাস্তা। আঁকাবাঁকা মাটির রাস্তা পেরিয়ে পার্কের সৌন্দর্য অবলোকন করতে হয়। একটি সংরক্ষিত বণাঞ্চল হওয়া স্বত্ত্বেও পর্যটকরা অনায়াসেই আমাজান বনের স্বাদ নিতে পারবেন।
সুগারলোফ পাহাড়
স্থানীয়রা এই পাহাড়িকে ‘পাও দি অ্যাকোয়ার’ নামে ডাকে। এক হাজার ২৯৯ পুট উচ্চতার পাহাড়টি মূলত গ্রানাইট আর কোয়ার্টজ পাথরে ভরপুর। কেবল কার দিয়ে তিন ঘণ্টায় অনায়াসেই পৌছানো যাবে পাহাড় চূড়ায়। কেবল কারের লাইনটি ১৯১২ সালে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা পাও দি অ্যাকোয়ার দেখতে আসেন।
কোস্টা ভার্দে
যেসব পর্যটকরা রোড ট্রিপ দিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য কোস্টা ভার্দে হতে পারে সবচেয়ে সুন্দর রোডট্রিপ দেয়ার রাস্তা। সান্তোষ থেকে রিও ডি জেনেরিওতে যাওয়ার পথের মোট ৩৫০ মাইল রাস্তাটিই হলো কোস্টা ভার্দে। রাস্তাটির দুপাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ছোটো বড় দ্বীপ। শুধু তাই নয় বিশ্বকাপ দেখতে আসা পর্যটকরা অনায়াসেই গাড়ি থামিয়ে রাস্তার দুপাশ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন মাঠ থেকে তোলা টাটকা সবজি।
বেলেম
আমাজানের গভীর জঙ্গলের ভেতর বয়ে যাওয়া একটি নদীর নাম বেলেম। ৯৮৫ মাইল দীর্ঘ এই নদীটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী। তবে নদীটিকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করতে ব্রাজিল সরকারকে টানা পাঁচ বছর কাজ করতে হয়েছে। এসময় নদীর ধারের অনেক আদিবাসী গোষ্ঠি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নতুন করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করতে কাটা হয়েছে অনেক গাছ। তারপরেও জঙ্গলের সৌন্দর্য দরে রাখতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। বেলেম নদীতে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো বাহন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ব্রাজিল সরকার।
পৌসাডা
বিশ্বকাপ দেখতে আসা পর্যটকদের মধ্যে যারা সদ্য বিবাহিত তারা অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন পৌসাডা লজে। ব্রাজিল সরকার পর্যটকদের জন্য দেশটির আমাজানের পার্শ্ববর্তী এক অঞ্চলে পৌসাডা নামে একটি ইকোলজ তৈরি করেছে। এই লজে আছে মোট ২৯টি আলাদা কক্ষ। পুরো লজটিই বাশে তৈরি। যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন তারা সহজে ফিরে যেতে চাইবে না পৌসাডা থেকে।
সালভাদরের মিউজিক
শুধু ঘুরে বেড়ালেই তো আর সব হবে না। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি ব্রাজিলের সংস্কৃতির কাছাকাছিও যেতে চায় পর্যটকরা। সংস্কৃতিপ্রেমী পর্যটকরা অনায়াসেই সালভাদর নামে খ্যাত মিউজিক শুনতে পারবেন। আফ্রিকার সঙ্গীত আর ব্রাজিলের সঙ্গীতের ছোয়া দুই এক সঙ্গেই পাওয়া যাবে সালভাদরে।
এছাড়াও রয়েছে থিয়েটার কেন্দ্র রেকিফ, মিউনিসিপ্যাল মার্কেট, সাও পাওলোর আর্ট গ্যালারি, চার্চসহ অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান। বিশ্বকাপ দেখতে আসা মানুষ সেসব জায়গায় চাইলে অনায়াসেই ঘুরতে পারবেন।
শুধু ঘুরে বেড়ালেই তো আর সব হবে না। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি ব্রাজিলের সংস্কৃতির কাছাকাছিও যেতে চায় পর্যটকরা। সংস্কৃতিপ্রেমী পর্যটকরা অনায়াসেই সালভাদর নামে খ্যাত মিউজিক শুনতে পারবেন। আফ্রিকার সঙ্গীত আর ব্রাজিলের সঙ্গীতের ছোয়া দুই এক সঙ্গেই পাওয়া যাবে সালভাদরে।
এছাড়াও রয়েছে থিয়েটার কেন্দ্র রেকিফ, মিউনিসিপ্যাল মার্কেট, সাও পাওলোর আর্ট গ্যালারি, চার্চসহ অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান। বিশ্বকাপ দেখতে আসা মানুষ সেসব জায়গায় চাইলে অনায়াসেই ঘুরতে পারবেন।



No comments:
Post a Comment