মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ (চ্যানেল) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে চ্যানেলটি উদ্বোধন করেন তিনি।
একই সঙ্গে নতুন ১১টি ড্রেজার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সব সময় ওই নৌ-চ্যালেনটি উন্মুক্ত রাখার নির্দেশ দেন।
এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গণভবনে এবং সচিব অশোক মাধব রায় ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক বাগেরহাট প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।
পুনঃখনন করে নৌপথটি চালুর ফলে ৮১ কিলোমিটার দূরত্ব কমে গেছে। এ ছাড়া মংলা-ঘষিয়াখালীর রমজানপুর এলাকায় একটি লুপ কাট করায় আরো পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব কমেছে।
২০১৪-১৫ সালে ১৮টি ড্রেজার ও ১৫টি এক্সকাভেটর দিয়ে পুনঃখনন করা হয়। অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (প্রথম পর্যায় ২৪টি নৌপথ) খনন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২-৭৪ সালে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খননের মাধ্যমে প্রথম উন্মুক্ত করেন। ১৯৮০ দশকে মংলা-ঘষিয়াখালী সংযুক্ত খালগুলোর মুখ বন্ধ করে চিংড়ি চাষ ও বিভিন্ন পোল্ডার নির্মাণ করায় ভরাট প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের পর থেকেই এ চ্যানেলের নাব্যতা সংকট শুরু হয় এবং ২০১০ সাল থেকে পুরোপুরি শুকিয়ে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment