আদালতের হস্তক্ষেপে মামলা দায়েরের পর দুর্বৃত্তরা মামলাটি তুলে নিতে উপজাতি পরিবারকে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে যে কোন মুহূর্তে তাদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
লোমহর্ষক ঘটনার দৃশ্য ভুলতে না পারা এবং দুর্বৃত্তদের অব্যাহত হুমকির কারণে ধর্ষিতা ও তার বাবা যে কোন মূহুর্তে আত্মহত্যা করতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৮ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে ইনানী বনের বাঁশখোলা নামক পাহাড়ে বাঁশ কাটতে যায় বালুখালীর তেলখোলা গ্রামের ওই চাকমা বাবা ও তার কিশোরী মেয়ে। এ সময় ৫ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের ঘিরে ফেলে।
তিনজন দুর্বৃত্ত ওই কিশোরীর বাবাকে মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। আর দুই দুর্বৃত্ত বাবার সামনেই কিশোরী মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দুর্বৃত্তরা যাওয়ার সময় মামলা না করা ও ঘটনা ফাঁস না করতে হুমকি দেয়।
তবে ঘটনা উখিয়া থানায় গিয়ে ধর্ষিতার বাবা মামলা করতে গেলে থানার পুলিশ জানায়, দুর্গাপূজার কারণে থানার সব অফিসার ব্যস্ত। তাই তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
এ ঘটনায় হতভাগ্য বাবা হতাশ হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসীর পরামর্শে গত ১৮ অক্টোবর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালত ধর্ষিতার জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলা রুজুর পর তদন্তের জন্য উখিয়া থানাকে নির্দেশ দেন।
ওই কিশোরীরর বাবা চাকমা জানান, গত ২৫ অক্টোবর তদন্তের জন্য ডেকে উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কায়কিসলু তাদের মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। বাবা ও মেয়েকে সাদা কাগজে টিপসই দিতে বলে। পরে তারা কৌশলে থানা থেকে চলে আসেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এই পুলিশ কর্মকর্তা মামলা রুজুর জন্য তার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নেন। তাছাড়া থানার মুন্সীর জন্যে তিনি দুই হাজার টাকা নেন। তারপরও আসামিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলছেন এই কর্মকর্তা।
ধর্ষিতা কিশোরী এ প্রতিবেদককে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বাবার সামনে আমাকে পাণ্ডরা অত্যাচার করেছে। ধর্ষণ করে এলাকার মংছাই ও মংফু। এলাকাবাসির নানা গুজন আর সহ্য হচ্ছে না।
পুলিশ কর্মকর্তা কায়কিশলু টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে ঘটনাটি জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেও হতে পারে।
No comments:
Post a Comment