মায়ের সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েকে এই ঘটনা জেনে ফেলার খেসারত দিতে হল নিজের প্রাণ দিয়ে। মায়ের হাতে খুন হল মেয়ে। গত শুক্রবার রাতে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ভারতের ডোমকলের ভগীরথপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অঙ্কিতা ঘোষ (১১)।
স্বামী অমর ঘোষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রিয়া ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও অঙ্কিতার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, মা নয়, মায়ের ‘প্রেমিক’ই খুন করেছে তাকে। ‘প্রেমিক’কে বাঁচাতে নিজের কাঁধে দায় তুলে নিয়েছে প্রিয়া।
পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই প্রিয়া ঘোষ স্বীকার করে বলেছেন, “আমিই আমার মেয়েকে খুন করেছি।”
এ বিষয়ে ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান জানান, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে গিয়েছিল মেয়ে। তার জেরেই শ্বাসরোধ করে এই খুনের ঘটনা। প্রিয়া ঘোষ নামে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান জানান, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে গিয়েছিল মেয়ে। তার জেরেই শ্বাসরোধ করে এই খুনের ঘটনা। প্রিয়া ঘোষ নামে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
গত শুক্রবার রাতে মায়ের সঙ্গেই শুয়েছিল স্থানীয় ভগীরথপুর হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা। অঙ্কিতার ফুপু মালতী ঘোষের কথায়, “রাতে ভাই ঘরে ছিল না। ভাবি নিশ্চয়ই এমন কিছু অন্যায় কাজ করছিল যা মেয়ে দেখে ফেলে। তবে ভাবি নয়, এই খুন তার প্রেমিকই করেছে। তাকে বাঁচাতেই ভাবি নিজের কাঁধে দায় তুলে নিচ্ছে।”
স্থানীয়রা জানান, প্রিয়ার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে অমর বাবুর সঙ্গে সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে চিড় ধরেছিল। স্থানীয় বাজারে অমর বাবুর একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। দিনে বাড়িতে খেতে গেলেও রাতে বাড়িতে কমই যান। দোকানে চুরি হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই অমর বাবু রাতে দোকানে থেকে যেতেন অধিকাংশ দিন। শুক্রবার রাতেও তেমনটাই ঘটেছিল।
অমর ঘোষ জানান, “ভোরের দিকে স্ত্রী এসে বলল মেয়ের শরীর ভাল নেই। ওকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। দৌড়ে গিয়ে দেখি মেয়ের মুখে রক্ত গড়িয়ে শুকিয়ে গিয়েছে। হাত-পা ঠাণ্ডা।”
সূত্র-সংবাদ প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment