এক পাশের পর্বতশৈলী রিও দে জেনেইরোর সীমানা শেষ করেছে, অন্য পাশের পর্বতমালা টেনেছে সাও পাওলোর সীমানা-প্রাচীর। এই দুই শহরের মাঝেই অবস্থান বেলো হরিজন্তের। মনোহর প্রাকৃতিক দৃশ্যের কারণেই শহরটির নাম হয়েছে বেলো হরিজন্তে—পর্তুগিজ ভাষায় যার মানে দাঁড়ায় সুন্দর দিগন্ত।
নয়নাভিরাম এই শহরের ফুটবলের অন্যতম ঐতিহাসিক মাঠ স্তাদিও মিনেইরাও বেশ সুন্দর। স্টেডিয়ামটি আতলেতিকো মিনেইরো ও ক্রুজেইরো ক্লাবের যৌথ মালিকানার।
১৯৬৫ সালে তৈরি করা স্টেডিয়ামটিকে জাতীয় নিদর্শন হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। তাই এরসামনের অংশ ও ছাদ সংরক্ষণ করেই সংস্কার কাজ করতে হয়েছে। তবে মাঠটিকে ৩.৪ মিটার নিচু করতে হয়েছে। কারণ রানিং ট্র্যাক সরিয়ে মাঠের ঠিক কাছাকাছিতে বসার আসন বানানো হয়েছে।
বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামটিকে উপযুক্ত করতে তিন বছর সময় লেগেছে। খরচ হয়েছে প্রায় ২২ কোটি পাউন্ড।
এক নজরে:
ধারণক্ষমতা: ৬২ হাজার ৫৪৭
নির্মাণ: ১৯৬৫ (সংস্কারের পর ২০১৩ সালে আবার উদ্বোধন করা হয়)
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা: ৮০০ মিটার (২ হাজার ৬২৪ ফুট)
জলবায়ু: শুষ্ক ও গরম। জুন ও জুলাই মাসে এখানে বছরের সবচেয়ে ঠাণ্ডা সময়, তবে তাও বেশিরভাগ দিন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে।
No comments:
Post a Comment