যে ভারতে ধর্ষণ সংস্কৃতির জয়জয়াকার; আর সেই ভারতেই আবার রয়েছে নারীর প্রতি শ্রদ্ধার অনন্য নজিরও। পুরুষতান্ত্রিক সনাতন সমাজব্যবস্থায় আচ্ছন্ন ভারতেও তাই, একজন নারীকে প্রতিদিন পা ছুঁয়ে প্রণতি জানান একজন মন্ত্রী স্বয়ং। স্ত্রীর অপরিসীম ত্যাগের কারণেই রাজনৈতিক জীবনে দারুণ সফলতা পেয়েছেন বলে মনে করেন দিল্লির নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী সন্দীপ কুমার।
নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে এই ৩৪ বছর বয়সী রাজনীতিবিদ বলেন, স্ত্রী ঋতুর জন্যই তার এ উত্থান। এজন্য তিনি ঋতুর কাছে জীবনভর কৃতজ্ঞ থাকবেন।
সন্দীপ বলেন, ‘তার প্রতি আমি এটতাই কৃতজ্ঞ যে, ২০১১ সালের এপ্রিলে বিয়ের পর থেকেই প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার পদধূলি নিই। কদমবুচি করার সময় ঋতু অধিকাংশ সময়ই হাসে, মাঝে মাঝে ‘সফল হও’ বলে আশীর্বাদও করে। আমাদের ভালোবাসা দেখে বন্ধুবান্ধবরাও মজা করে।’
এই জুটির প্রথম স্বাক্ষাৎ হয় ২০০৩ সালের ১৬ জুলাই দিল্লির দয়াল কলেজে। সে দিনকার কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন সন্দীপ। সে দিনের স্মৃতিচারণ করেন এভাবে, ‘২০০৩ সালের জুলাইয়ের দিকে আমি দয়াল কলেজে বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ঋতু সে বছরই দয়ূাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলো। আমরা সবাই মিলে তাকে র্যাগ দিই এবং গান গাইতে বলি।’
সেদিনের কথা স্মরণ করতে পারেন ঋতুও। তবে সেদিন ঠিক কোন গানটি গেয়েছিলেন তা আজ আর মনে নেই। ঋতু বলেন, সেদিন কি আর ভাবতে পেরেছিলাম এই সন্দীপকেই আমি বিয়ে করবো! কিন্তু পরে সেটাই হলো। আমরা পরস্পরকে ভালোবাসলাম।
No comments:
Post a Comment