সম্প্রতি ফ্রান্সস্থ বাংলাদেশ দুতাবাস সহ বিশ্বের ১১ টি দুতাবাসের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষীতে বাংলাদেশ অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে ফ্রান্স সহ ১১ টি মিশনে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য অডিট প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। মিশনগুলো হলো, বাংলাদেশ হাই কমিশন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ দুতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসি, কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক এবং কনস্যুলেট জেনারেল, লস এঞ্জেলস, যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন, সহকারী হাই কমিশনার বার্মিংহাম এবং সহকারী হাই কমিশনার ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ দুতাবাস, রিয়াদ এবং কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দা, সৌদী আরব, বাংলাদেশ দুতাবাস প্যারিস, ফ্রান্স, বাংলাদেশ দুতাবাস, বেইজিং, কনস্যুলেট জেনারেল, হংকং এবং কনস্যুলেট জেনারেল, কুমিং, চীন, বাংলাদেশ দুতাবাস, আবুধাবি এবং কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ দুতাবাস রোম এবং কনস্যুলেট জেনারেল মিলান, ইতালী, বাংলাদেশ দুতাবাস জেনেভা, সুইজারল্যান্ড, বাংলাদেশ হাই কমিশন, অটোয়া, কানাডা এবং বাংলাদেশ দুতাবাস ম্যানিলা, ফিলিপাইন। এসব মিশনের ২০০৯-১০ থেকে ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত সম্পাদিত অডিট রিপোর্ট ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।এগুলো ৩০ মে ২০১৬ সালের মধ্যে পাঠানোর জন্য বলঅ হয়েছিলো।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই অডিট প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের প্রমান পাওয়া গেছে।
সুত্র জানায় ফ্রান্সস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় ও বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে রাজস্ব বাজেটের আওতায় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। পাশাপাশি ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট, জন্ম সনদ, বিবাহ সনদ, ভিসা ফি সহ অভ্যন্তরীন খাত থেকে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাবে গড়মিল পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদুতের বাসভবন পরিবর্তন, গাড়ী ক্রয়-বিক্রয়, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে আপ্যায়ন খরচ, দুতাবাসের কম্পিউটার ক্রয় সহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেছে ।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদুতের বাসভবন পরিবর্তন, গাড়ী ক্রয়-বিক্রয়, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে আপ্যায়ন খরচ, দুতাবাসের কম্পিউটার ক্রয় সহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেছে ।
এদিকে ব্রাজিলে অবস্থানরত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মিজারুল কায়েস এর কিছু অনিয়ম প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশিদের কোনো কাজে সহযোগিতা করছেননা বলে অভিযোগ ওঠেছে। এম আর পি পাসপোর্ট না থাকায় ব্রাজিলের পার্মানেন্ট কার্ড থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারছেননা অনেক প্রবাসী।
গত সপ্তাহে মিজারুল কায়েস এর বাংলাদেশিদের সাথে সাও পাওলো তে একটি মত বিনিময় সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল ,কিন্তু সে না এসে তার এক সহযোগীকে পাঠান সাও পাওলোতে।
আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের কোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন নি আগত অতিথি।
এখন প্রশ্ন হলো এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের কোনো সহযোগিতা কি পাবেন ব্রাজিল প্রবাসী বাংলাদেশিরা ?
কি কারণে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না ? এটা কি দূতাবাসের দায়িত্ব হীনতা নাকি বাংলাদেশ সরকারের অবহেলা।
অনতিবিলম্বে এর সুরাহা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
No comments:
Post a Comment