বরিশালের উজিরপুর ও ফেনীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পৃথক ঘটনায় এক যুবলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে তাদের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। বরিশাল ব্যুরো ও নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনীর পাঠানো খবর।
উজিরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও তার নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরাকোঠা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ফয়েজ আহম্মেদ; মিজানুর রহমান ও রুমান হোসেন।
উজিরপুর থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, অভিযুক্ত মিজানুর রহমান গত ২৬ সেপ্টেম্বর নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে তার দুই সহযোগীও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ব্যর্থ হয়ে তারা ওই ছাত্রীকে মারধর ও তার নগ্ন ছবি ধারণ করে। পরে ছাত্রীর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায় ধর্ষক মিজান ও তার সহযোগীরা। ছাত্রীর পরিবার ২০ হাজার টাকা দিলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে নগ্ন ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও তার ভিডিও চিত্র ফেসবুকে প্রকাশের অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী থেকে সহিদুল ইসলাম সুমন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোনাগাজী থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, গ্রেফতারকৃত সুমন সোনাগাজীর পাইকপাড়া গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে। কিছুদিন আগে একই গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কয়েক দিন আগে সুমন মেয়েটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ও তা মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। সম্প্রতি সে এই ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা সুমনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি জানান, সুমনকে গ্রেফতারের পর তার মোবাইল ফোনে সেই অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে। শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment