সকাল-দুপুর-রাত —তিন বেলার খাবারে তরকারির বাটির দিকে বাঙালি ভোজন রসিকের আলাদা নজর থাকে। কারণ ভাত বা রুটির সাথে সুস্বাদু তরকারি হলে আহারে তৃপ্তি পাওয়া যায় ষোলআনা। তাই ভিন্ন স্বাদের ৪ পদের তরকারির রেসিপি নিয়ে এবারের আয়োজন।
মিক্সড ভেজিটেবল
উপকরণ: ফুলকপি ১ কাপ, বাঁধা কপি ১ কাপ, শিম আধা কাপ, গাজর ১ কাপ, ব্রকলি আধা কাপ, ক্যাপসিকাম ১টা, আলু ১ কাপ, পেঁপে ১ কাপ, পেঁয়াজ ভাঁজ খোলা ৩টা, আদা বাটা ১ চা চামচ, মুরগির বুকের মাংস ১ কাপ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫/৬টা, বাটার/তেল ৩ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ (উঁচু), টেস্টিং সল্ট আধা চা চামচ (ইচ্ছা), লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ।
প্রণালি: মুরগির বুকের মাংস গোলমরিচ গুঁড়া, সয়াসস দিয়ে মেখে রাখুন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। তারপর আদা বাটা দিয়ে নেড়ে কুচি করে কেটে রাখা মুরগির মাংস ঢেলে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পর টুকরো করে কেটে রাখা সবজি ধুয়ে ঢেলে মুরগির মাংসের সাথে মিশিয়ে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। সবজি প্রায় সিদ্ধ হয়ে এলে ১ থেকে দেড় কাপ চিকেন স্টকে কর্নফ্লাওয়ার, চিনি ও টেস্টিং সল্টগুলো ঢেলে দিন। এবার কাঁচা মরিচ ফালি, লেবুর রস ও ১ চা চামচ বাটার দিয়ে ঘন হলে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিন।
লাউ ও শোল মাছ
উপকরণ: লাউ ১টা (মাঝারি), শোল মাছ ১টা, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচের কম, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া সামান্য, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪/৫টা, চিনি আধা চা চামচ (ইচ্ছা), তেল ৪ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে লাউ টুকরা করে কেটে নিন। শোল মাছ কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার হাঁড়িয়ে তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি, পেঁয়াজ বাটা ও সব রকম গুঁড়া মসলা দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। এবার ধুয়ে রাখা শোল মাছের টুকরা মসলায় কষিয়ে নিন। মাছ কষানো হলে মসলা থেকে মাছের টুকরা তুলে ওই মসলায় কেটে রাখতা লাউ ঢেলে নেড়েচেড়ে অল্প আঁচে ঢেকে দিন। ১০/১২ মিনিট পর নেড়ে মাছের টুকরাগুলো দিয়ে ঢেকে দিন। কচি লাউয়ের পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। লাউ সিদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ, চিনি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে পরিবেশন ডিশে ঢেলে নিন।
মুগডাল ও সবজির চচ্চড়ি
উপকরণ: ভাজা মুগডাল ২ কাপ, গাজর ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, শিম, মুলা ১ কাপ করে, পেঁয়াজ কলি আধা কাপ, আদা বাটা ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, আস্ত সরিষা আধা চা চামচ, আস্ত জিরা সিকি চা চামচ, শুকনা মরিচ ২টা, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: ভাজা মুগডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সব রকম সবজি চৌক করে কেটে নিন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। তারপর সরিষা, আস্ত জিরা ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। এবার জিরা গুঁড়া বাদে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মসলা কষিয়ে মুগডাল দিন। এবার মুগডাল কষিয়ে আধা কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ৭/৮ মিনিট পর কেটে রাখা সবজি ধুয়ে ঢেলে দিন। এবার নেড়ে লবণ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন অল্প আঁচে। সবজি ও ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে জিরার গুঁড়া দিয়ে ৩/৪ মিনিট পর মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন। রুটি, পরোটা কিংবা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
পালং চিংড়ি
উপকরণ :পালং শাক ১ কেজি, চিংড়ি ১ কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪/৫টি, তেল ৪ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: পালং শাকের গোড়া কেটে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে মোটা কুচি করে কেটে নিন। চিংড়ি খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ও রসুন কুচি দিন। বাদামি হলে পেঁয়াজ বাটা ও সব গুঁড়া মসলা দিয়ে মসলা কসিয়ে নিন সামান্য একটু পানি দিয়ে। এবার চিংড়ি ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার পালং শাক ঢেলে নেড়েচেড়ে ঢেলে দিন। শাকের পানি প্রায় শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি দিন। এবার মাখা মাখা হলে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে দিন।
No comments:
Post a Comment