এ ভাবে শিয়রে মৃত্যুর সমন ছিল তা প্রথমে বুঝতেই পারেননি এরোমেক্সিকো বিমানের যাত্রী ইনদালেসিও মেদিনা। মেক্সিকোর তোরেন বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যাচ্ছিল মেক্সিকো সিটি। তোরেন বিমানবন্দর থেকে টেক অফ-এর পর ইনদালেসিও ম্যাগাজিন পড়ছিলেন। ইনদালেসিও-র পাশেই বসে থাকা যাত্রী প্রথমে নজর করেন লাগেজ বাঙ্কারের পাশ দিয়ে ঝুলে থাকা সাপটিকে। ভয়ে আঁতকে উঠেছিলেন ওই যাত্রী। তাঁর চিৎকারে হকচকিয়ে যান ইনদালেসিও। তিনি ম্যাগাজিন ফেলে উঠে দাঁড়ান। দেখেন ঠিক তাঁর মাথার উপরেই লাগেজ বাঙ্কার থেকে ঝুলে পড়েছে সবুজ রঙের সাপটি।
ইনদালেসিও মোবাইল ফোন দিয়ে সাপটির ভিডিও তোলেন। ততক্ষণে যাত্রীদের চিৎকারে ছুটে আসেন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টরা। বাকি যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইনদানেসিও জানিয়েছেন, সাপটিকে ওভাবে ঝুলতে দেখে তাঁর হলিউড ছবি ‘স্নেক অন দ্য প্লেন’-এর কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।
বিমানের মধ্যে তখন তুলকালাম পরিস্থিতি। এরই মধ্যে এক ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট সাপটির উপরে কম্বল চাপিয়ে দেন। এরপর বিমানটি মেক্সিকো সিটি পৌঁছলে তড়িঘড়ি ‘প্রায়োরিটি ল্যান্ডিং’ করানো হয়। আগে থেকেই খবর পেয়ে সেখানে প্রস্তুত ছিলেন ‘অ্যানিম্যাল কন্ট্রোল ওয়ার্কার্স’-এর দল। তাঁরা বিমানে উঠে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এরোমেক্সিকো পরে একটি বিবৃতিও দেয়। তাতে তারা জানায়, ‘বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। ভাগ্যভাল যে যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত।’ তবে, কীভাবে সাপটি লাগেজ বাঙ্কারে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মেক্সিকোর এই বিমান সংস্থা।

No comments:
Post a Comment