ব্রাজিল পর্যন্ত মেসিকে নেইমারের ‘লিফট’

প্রিয় বন্ধুকে তো এভাবেই বাড়িতে নিয়ে যেতে হয়!

যাঁর বাড়িতে যাবেন, তিনিই আপনাকে ‘লিফট’ দিয়ে নিয়ে গেলেন বাড়িতে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! তা কে কার ‘বাড়ি’তে গেলেন? লিওনেল মেসি গেছেন নেইমারের বাড়ি, মানে ব্রাজিলে। সেটিও কীভাবে? নেইমারই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের ব্যক্তিগত একটা জেট আছে না!
বাংলাদেশ সময় পরশু ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বেলো হরিজন্তেতে নেইমারের ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে মেসির আর্জেন্টিনা। তার আগে বার্সেলোনা থেকে দুই আর্জেন্টাইন সতীর্থ মেসি ও হাভিয়ের মাচেরানোকে নিজের জেট বিমানে করেই নিয়ে গেলেন নেইমার।
একে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, শতাব্দী প্রাচীন বৈরিতার ইতিহাস, তার ওপর ম্যাচটাও এমন গুরুত্বপূর্ণ। মেসিদের জন্যই ম্যাচটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, হেরে গেলে ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নটা আরেকটু হুমকির মুখে পড়ে যাবে পয়েন্ট তালিকার ছয়ে থাকা আর্জেন্টিনার (ব্রাজিল আছে সবার ওপরে, আর্জেন্টিনার চেয়ে পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে)। তবে ওসব তো মাঠের ৯০ মিনিটের লড়াই, মেসি-নেইমারের সম্পর্ক কী আর এসব হিসেবের ধার ধারে নাকি!
তিন বছর আগে নেইমার বার্সেলোনায় আসার পর থেকেই দুজনের সম্পর্কটা অনেকটা ‘মানিকজোড়ে’র মতো। এক বছর পর সঙ্গে লুইস সুয়ারেজও যোগ হওয়ার পর থেকে মাঠে, মাঠের বাইরে তিনজনের বন্ধুত্বের অনেক গল্পও সামনে এসেছে অনেকবার। সেটিরই উদাহরণ আরেকবার দিলেন নেইমার।
এমনিতে গত কিছুদিন ধরে মাঠেও মেসি-সুয়ারেজের গোলের নেপথ্যে নেইমারের পায়ের ঝলকই বেশি কাজ করেছে। রোববারের সেভিয়া ম্যাচটিই দেখুন, বার্সেলোনা পিছিয়ে পড়ার পর মেসির যে গোলে সমতা ফিরিয়েছে, সেটি গড়ে দিয়েছেন তো নেইমারই। বন্ধুতার প্রমাণ মাঠের বাইরেও রাখলেন ২৪ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান।
সেভিয়া ম্যাচের পরই মেসি ও মাচেরানোর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে এসেছিল বার্সেলোনা থেকে মিনেইরোর এই দীর্ঘ বিমানভ্রমণ। গতকালই যে আবার আর্জেন্টাইনদের অনুশীলন ছিল। নেইমার তাই হাজির হলেন সমাধান নিয়ে—তাঁর বিলাসবহুল জেট! সেটিতে আবার সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দিয়েছেন নেইমার।
ছবিটি দেখুন, কে বলবে, ফুটবল মাঠে ১০২ বছরের ‘শত্রুতা’র ইতিহাস গড়া দুটি দেশের প্রতিনিধি তাঁরা দুজন?