মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এক দম্পতি তাদের মেয়ের নাম ‘আল্লাহ’ রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রাজ্যের কর্তৃপক্ষ তা নিষিদ্ধ করায় তারা এখন আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
শিশু কন্যাটির বয়স এখন ২২ মাস। নাম রাখা নিয়ে এই ঝামেলা বাঁধার ফলে এখনো তার কোনো নাম নেই।
তার মা এলিজাবেথ হ্যান্ডি এবং বাবা বিলাল ওয়াক - মেয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলেন ‘যালিখা গ্রেসফুল লোরেইনা আল্লাহ’।
কিন্তু রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই নামে কোন বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্ম সনদ ইস্যু করতে অস্বীকার করে। তাদের যুক্তি: বাচ্চার পদবী হতে হবে তার বাবার বা মা’র নামে ‘হ্যান্ডি’ বা ‘ওয়াক’ - কিন্তু ‘আল্লাহ’ কোন পদবী হতে পারে না।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দম্পতিটির পক্ষে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ফুলটন কাউন্টির আদালতে এক মামলা করে দিয়েছে।
শিশুটির বাবা বলছেন, ইচ্ছেমত নাম রাখতে না দেয়াটা একেবারেই অন্যায় এবং তাদের অধিকারের লংঘন।
অবিবাহিত এই দম্পতির এর আগে একটি ছেলে হয়েছে। তার নাম ‘মাস্টারফুল মোশিরা আলি আল্লাহ’ বলে উল্লেখ করা হয় মামলার আবেদনে।
কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, শিশুর জন্ম নিবন্ধীকরণের জন্য আইন অনুযায়ী বাবা বা মা’র পদবী ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে শিশুটি সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার পাবে না।
তারা বলছে, তবে অভিভাবকরা যদি চান নিবন্ধীকরণের পর উচ্চতর আদালতে আরেকটি আবেদন করে এটা পরিবর্তন করা যাবে, তার আগে নয়।
তবে দম্পতির আইনজীবী বলছেন, এটা খুবই সহজ একটি মামলা। শিশুর নাম কি হবে তা ঠিক করবেন বাবা-মা - এখানে রাষ্ট্রের কিছু বলার নেই।
কিন্তু জন্ম সনদ না থাকলে শিশুটির নাগরিকত্ব এবং অধিকার নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে, এটাই আশংকা।
সূত্র: বিবিসি
Tuesday, March 28, 2017
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment