পড়াশুনা-খাওয়াদাওয়া-ঘুম। রুটিনে বাঁধা জীবন। এই জীবনে নেই কোন ঝগড়া, নেই কোন পিছু টান। এভাবে সুখে-শান্তিতে কেটে গেল টানা ৩৫ বছর। এ সময়টা বিয়ের কথা মাথায় আসেনি একবারও। কিন্তু এরপর? এর উত্তর দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, আপনি যদি ৩৫ বছরেও বিয়ে না করে সিঙ্গেল থাকেন, তাহলে আপনি একাকিত্ব জীবনের প্রেমে পড়ে যান। তাই সে সময় বিয়ে করার কথা একবারও আপনার মাথায় আসেনা।
সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৫-৪০ বছরের অনেক নারী এবং পুরুষই স্বীকার করেছেন, তারা প্রায় বিয়ে করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
গবেষকরা বলেছেন, পরিবর্তনটা আসলে এখানেই। আজকের দিনে নারীরা বিয়েকে দ্বিতীয় হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এখন তারা প্রথম প্রাধান্য দেয় পড়াশুনা এবং ক্যারিয়ারকে। অনেক নারী আবার মনে করেন, পূর্ণাঙ্গ মানুষ মনে করতে তাদের আসলে পুরুষের প্রয়োজন নেই।
আবার মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষ যদি একটি নির্দিষ্ট সান্ত্বনা মাত্রায় থাকে তখন সেটা থেকে তারা এগিয়ে যেতে চায়না। এটাও বিয়েতে আগ্রহ হারানোর কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে তারা কিছু ফ্যাক্টরকে ৩৫ বছরের পর বিয়েতে আগ্রহ হারানোর ফ্যাক্টর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো-
ফ্যাক্ট-১
যে কোন সম্পর্কই অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসে। এসব জিনিস একজন ব্যক্তিকে অন্ধ করে দেয়। যখন ৩৫ বছর পর্যন্ত আপনি কোন সীমাবদ্ধতা ছাড়াই জীবন কাটিয়ে দেবেন তখন হঠাৎ করে আপনি বিয়ে করতে প্রস্তুত হবেন কেন? প্রশ্নটা এখানেই।
যে কোন সম্পর্কই অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসে। এসব জিনিস একজন ব্যক্তিকে অন্ধ করে দেয়। যখন ৩৫ বছর পর্যন্ত আপনি কোন সীমাবদ্ধতা ছাড়াই জীবন কাটিয়ে দেবেন তখন হঠাৎ করে আপনি বিয়ে করতে প্রস্তুত হবেন কেন? প্রশ্নটা এখানেই।
ফ্যাক্ট-২
অবিবাহিত জীবনে কোন চাপ কিংবা কোন বোঝা নেই। বিয়ে যদিও প্রথমে আনন্দ দেয়। কিন্তু পরে সম্পর্কে চাপ, বোঝা এবং নানা উত্থান-পতন নিয়ে আসে এটি। কাজেই ৩৫ বছর সুখে জীবন কাটানোর পর কে চায় জীবনের শান্তি বিসর্জন দিতে?
অবিবাহিত জীবনে কোন চাপ কিংবা কোন বোঝা নেই। বিয়ে যদিও প্রথমে আনন্দ দেয়। কিন্তু পরে সম্পর্কে চাপ, বোঝা এবং নানা উত্থান-পতন নিয়ে আসে এটি। কাজেই ৩৫ বছর সুখে জীবন কাটানোর পর কে চায় জীবনের শান্তি বিসর্জন দিতে?
ফ্যাক্ট-৩
অনেকেই অবিবাহিত জীবনে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। কেননা এ সময় কোন কাজেই কোন বাধা নেই। আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন, যেখানে খুশি যেতে পারেন। আপনি যদি মনে করেন চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বাসায় বসে থাকবেন তাহলেও সমস্যা নেই। কিন্তু বিয়ের পর এসব করার আগে আপনাকে অন্তত ১০ বার ভাবতে হবে।
অনেকেই অবিবাহিত জীবনে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। কেননা এ সময় কোন কাজেই কোন বাধা নেই। আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন, যেখানে খুশি যেতে পারেন। আপনি যদি মনে করেন চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বাসায় বসে থাকবেন তাহলেও সমস্যা নেই। কিন্তু বিয়ের পর এসব করার আগে আপনাকে অন্তত ১০ বার ভাবতে হবে।
ফ্যাক্ট-৪
অবিবাহিত থাকলে নিজের কাজের উপর অনেক বেশি ফোকাস করা যায়। এ সময় নিজের কঠোর পরিশ্রমই আপনাকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। তবে বিয়ে করলে নিজের মতো করে পরিশ্রম করার সময় আর নাও মিলতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই ৩৫ বছরের পর বিয়ে করতে আগ্রহ দেখান না অনেকেই।
অবিবাহিত থাকলে নিজের কাজের উপর অনেক বেশি ফোকাস করা যায়। এ সময় নিজের কঠোর পরিশ্রমই আপনাকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। তবে বিয়ে করলে নিজের মতো করে পরিশ্রম করার সময় আর নাও মিলতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই ৩৫ বছরের পর বিয়ে করতে আগ্রহ দেখান না অনেকেই।
ফ্যাক্ট-৫
যদি অনেকদিন পর্যন্ত আপনি সিঙ্গেল থাকেন, তাহলে বিয়ের পর নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে আপনি কখনই আগ্রহী হতে চাইবেন না।
যদি অনেকদিন পর্যন্ত আপনি সিঙ্গেল থাকেন, তাহলে বিয়ের পর নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে আপনি কখনই আগ্রহী হতে চাইবেন না।
ফ্যাক্ট-৬
৩৫ বছর পর্যন্ত সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করলে অন্যদের লাইফস্টাইল আপনার কখনই পছন্দ হবেনা। বিশেষ করে কোন দম্পতিকে ঝগড়া করতে দেখলে, হতাশার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে কিংবা তাদের কাউকে ঠকাতে দেখলে আপনি বিয়ে করার আগ্রহ একেবারেই হারিয়ে ফেলবেন।
৩৫ বছর পর্যন্ত সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করলে অন্যদের লাইফস্টাইল আপনার কখনই পছন্দ হবেনা। বিশেষ করে কোন দম্পতিকে ঝগড়া করতে দেখলে, হতাশার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে কিংবা তাদের কাউকে ঠকাতে দেখলে আপনি বিয়ে করার আগ্রহ একেবারেই হারিয়ে ফেলবেন।
ফ্যাক্ট-৭
অবিবাহিত জীবনে আপনি ইচ্ছামতো যে কোন সময় যে কারও সঙ্গে যেতে পারেন। এ কারণেই ৩৫ বছরের পরও শহুরে মানুষদের একটা বড় অংশ সিঙ্গেল থাকার চেষ্টা করেন।
অবিবাহিত জীবনে আপনি ইচ্ছামতো যে কোন সময় যে কারও সঙ্গে যেতে পারেন। এ কারণেই ৩৫ বছরের পরও শহুরে মানুষদের একটা বড় অংশ সিঙ্গেল থাকার চেষ্টা করেন।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই ডট কম।
No comments:
Post a Comment