সারাদেশে বইতে শুরু করছে শৈত প্রবাহ। প্রতিদিনই তীব্রতা বাড়ছে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন জেলা গুলোতে।অন্যদিকে রাশিয়ার এই এলাকার কাহিনীও বরফের মতই কঠিন।
ওইমায়াকন— ইন্ডিগির্কা নদীর পাশে, রাশিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রাম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এখানে এয়ারফিল্ড তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ডিসেম্বরে এখানে দিনের আলো দেখা যায় ঘণ্টা তিনেকের জন্য। অন্যদিকে, বছরের মাঝামাঝি, জুন মাস নাগাদ সূর্য জেগে থাকে প্রায় ২১ ঘণ্টা।
এত কষ্ট সহ্য করেও কেন মানুষজন থাকেন এই গ্রামে! উত্তর দিতে পারবেন শুধু ওইমায়াকন-বাসীরাই। তবে, বর্তমানে সুযোগ রয়েছে সকলেরই। বেশ কিছু ভ্রমণসংস্থা উৎসুক পর্যটকদের নিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর শীতলতম গ্রামে।
ওইমায়াকনকে বলা হয় ‘পোল অফ কোল্ড’। রাশিয়ার এই গ্রাম পৃথিবীর সব থেকে শীতলতম স্থান, যেখানে স্থায়ী মনুষ্যবসতি রয়েছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৫০০ মানুষের বাস। কৃষিকাজ তো অনেক দূরস্থান, ঠান্ডার জন্য এখানে কোনও গাছই বাঁচে না। এখানকার মানুষের প্রধান খাদ্য ঘোড়া আর রেনডিয়ারের মাংস। জানুয়ারি মাসে এখানকার তাপমাত্রা নেমে যায় -৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখনও পর্যন্ত রেকর্ড তাপমাত্রা -৭১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই কয়লা বা কাঠ জ্বালিয়ে রাখা হয় গরম থাকার জন্য। কলমের কালি, গ্লাসের জল— সবই জমে যায় অত্যাধিক ঠান্ডার কারণে। সব থেকে সমস্যা দেখা দেয় কেউ মারা গেলে। বরফের আস্তরণ আগে গরম কয়লা দিয়ে গলিয়ে, তবেই মাটি খোঁড়া যায়।
ভাবতে অবাক লাগে, এত কষ্ট সহ্য করেও কেন মানুষজন থাকেন এই গ্রামে! উত্তর দিতে পারবেন শুধু ওইমায়াকন-বাসীরাই। তবে, বর্তমানে সুযোগ রয়েছে সকলেরই। বেশ কিছু ভ্রমণসংস্থা উৎসুক পর্যটকদের নিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর শীতলতম গ্রামে।
No comments:
Post a Comment