মহিলাদের পোশাক নিয়ে ভারত সহ এশিয়া ও আরব দেশগুলিতে ছুঁতমার্গ আছে বটে। তাই বলে মার্কিন মুলুকেও! গতকাল রবিবার মার্কিন বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমানে উঠতে গিয়ে এমন ঘটনারই সাক্ষী থাকলেন দুই তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার থেকে মিনিয়াপলিস যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু বিমানে উঠতে গেলে বাধা দেন প্রবেশদ্বারে মোতায়েন এক মহিলা এজেন্ট। লেগিংস পরে বিমানে ওঠা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। তর্ক করেও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হন ওই দুই যাত্রী। লেগিংসের ওপর অন্য পোশাক চাপিয়ে নেন। তারপরই বিমানে প্রবেশের অনুমতি মেলে।
ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন শ্যানন ওয়াটস নামের আর এক মহিলা যাত্রী। টুইট করে বিষয়টি সামনে এনেছেন তিনি। টুইটারে শ্যানন লিখেছেন, ‘লেগিংস পরে নাকি বিমানে ওঠা যাবে না! দুই যাত্রীকে পোশাক পাল্টাতে বাধ্য করছেন বিমানবন্দরে মোতায়েন মহিলা এজেন্ট। বিমানে মহিলাদের পোশাক নিয়ে বিধি–নিষেধ আছে বলে আগে তো শুনিনি?’ বিষয়টি নিয়ে বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওই দুই যাত্রীকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করা হয়। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র জোনাথান গুয়েরিন বলেন, সাধারণ যাত্রীদের জামা–কাপড় নিয়ে মাথা না ঘামালেও, সংস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রে কিছু বিধি–নিষেধ রয়েছে। ওই দুই তরুণী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত। সংস্থার কর্মীদের জন্য বরাদ্দ বিশেষ ছাড়পত্র নিয়েই রবিবার বিমানযাত্রা করছিলেন তারা। কিন্তু নিয়ম–কানুনের ধার ধারেননি। তাই ওদের আটকানো হয়। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কর্মীদের হাওয়াই চপ্পল পরে বিমানযাত্রার অনুমতি নেই বলেও জানিয়েছেন গুয়েরিন।
No comments:
Post a Comment