Social Icons

Thursday, March 30, 2017

ব্রাজিলে পরিত্যক্ত এক হীরার খনি থেকে এখনো প্রাচীন পদ্ধতিতে হীরা আহরণ করছেন সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা।


বহু আগে পরিত্যক্ত ব্রাজিলের এক হীরার খনি থেকে এখনো প্রাচীন পদ্ধতিতে হীরা আহরণ করছেন সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা।

ব্রাজিলের রিও জেকিচিনওইয়া নদীতীরবর্তী একটি অঞ্চল আরেইনা। সেই অষ্টাদশ শতকেই এখানে অভিযান শুরু হয়েছিল সোনার খনির খোঁজে। আর সেই সোনার খনি খুঁজতে খুঁজতে ১৭২৫ সালে তার চেয়েও বড়সড় আবিষ্কার করে বসেন অভিযাত্রীরা। আবিষ্কার করে বসেন আস্ত এক হীরার খনি। নাম দেওয়া হয় মিনা জেরাইস। দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লি ও অন্যান্য হীরার খনি আবিষ্কারের আগে এই মিনাস জেরাইসই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হীরার খনি। বড় বড় কম্পানিগুলো রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড লাগিয়ে দিয়েছিল আরেইনয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার হীরার খনিগুলো আবিষ্কারের পর গুরুত্ব হারাতে থাকে মিনা জেরাইস। এখন তো হীরা উত্তোলনের দিক দিয়ে বেশ পিছিয়েই পড়েছে ব্রাজিল। আর মিনা জেরাইসকে বলা যেতে পারে পরিত্যক্ত খনি। লাভজনক না হওয়ায় একে একে সব কম্পানিই খনিটা ছেড়ে যেতে থাকে। শেষ দিকে এমনকি খনি মজুরদের ঠিকঠাক টাকা দিতেও হিমশিম খাচ্ছিল কম্পানিগুলো। আর এখন তো ওখানে কোনো কম্পানিই হীরা উত্তোলন করছে না।
আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে ওখানকার স্থানীয় মানুষ। তারা পরিত্যক্ত খনিজুড়ে যেন গড়ে তুলেছে এক খনি-গ্রাম। খনি এলাকায় কম্পানিগুলো যেসব বিশাল গর্ত খুঁড়েছিল, সেগুলোর আশপাশে তারা কাঠের ঘর বানিয়ে থাকছে। আর আট-দশজনের দল পাকিয়ে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে সনাতন পদ্ধতিতেই অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। যার কাছে যা থাকে তা-ই নিয়ে তারা খনিতে গিয়ে হীরা খোঁজে। কাঠের তৈরি ছুরি, চালুনি আর লম্বা পানির পাইপ। পাথর আর কাদামাটির মধ্য থেকে হীরা খুঁজে পাওয়া খুবই দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল এক প্রক্রিয়া। সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে খনন চালালেও এখানে সফল হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। হীরা খোঁজার জন্য গ্রামবাসীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একসঙ্গে কাজ করে। প্রতিটি দলে থাকে ১০ জন বা তারও কম লোক। প্রথমে ৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত মাটি খুঁড়তে হয়। তারপর পানির পাম্প বা পুরনো ট্রাকের ইঞ্জিন দিয়ে পাথর সরানো হয়। সব শেষে খননকারীরা এই পাথরগুলোর ভেতরেই বিভিন্ন উপায়ে হীরা খুঁজতে শুরু করে।
প্রত্যন্ত আরাইনা এলাকার প্রায় ১০০ লোক হীরার খনি খননের সঙ্গে জড়িত। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি রত্ন তোলাই তাদের কাজ, তবুও তাদের কাঠের ঘরে নেই পানি কিংবা বিদ্যুৎ। এত যে পরিশ্রম করে তারা খনন কাজ করছে, তাতে কিন্তু ন্যূনতম আয়রোজগারের কোনো নিশ্চয়তাও নেই। তবু তারা এ কষ্ট স্বীকার করছে ওই একটি কারণে। যদি পেয়ে যায় একটা হীরা! তাহলেই তো নিদেনপক্ষে কয়েক হাজার ডলারের হাতছানি।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates