সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলাধীন শিববাড়ি এলাকার ‘আতিয়া মহলের’ জঙ্গি আস্তানায় আটকে পড়া শতাধিক বাসিন্দাদের উদ্ধারের পর শুরু হয়েছে চূড়ান্ত অভিযান। শনিবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে ভবনের ভেতর থেকে মুহুর্মুহু গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসতে শোনা গেছে। এর আগে ভবন প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে অভিযানকে কেন্দ্র করে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে আতিয়া মহলের ২৯টি ফ্ল্যাটে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সরিয়ে আনতে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে শতাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়ে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’।
এর আগে সকাল পৌনে আটটার দিকে আতিয়া মহলের গ্যাস, বিদ্যুত্ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া আতিয়া মহলের এক কিলোমিটারের মধ্যে সাংবাদিকসহ কাউকে অবস্থান করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশপাশে রাখা হয়েছে সাজোয়া যান, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
শুক্রবার সারা রাত সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা বাসাটি ও তার আশাপাশের এলাকা ঘিরে রেখে অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ওই এলাকায় ও তার আশপাশে বাড়ানো হয় পুলিশের সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার রাত তিনটা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। দুটি ভবনের একটিতে জঙ্গিদের অবস্থানের তথ্য পেয়ে সিলেট নগর পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেললে শুরু হয় বোমাবাজি ও গুলি। পরে শুক্রবার বিকালে ঢাকা থেকে এসে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় বিশেষ বাহিনী সোয়াতের একটি টিম।
No comments:
Post a Comment