শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি । কী খাব, এবং কতটা খাব— সে সম্পর্কে যথাযথ বিবেচনার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থতার চাবিকাঠি । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাত্রে খেতে যাওয়ার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে বেশি খাওয়া না হয়, এবং খেতে বসার সময়ে যাতে ঠিকঠাক খিদে পায় । কারণ যথাযথ খিদে না থাকলে, হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে । কিন্তু কী ভাবে খিদে পাওয়া এবং খাওয়ার পরিমাণটিকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বেঁধে রাখার কাজটি বাস্তবায়িত করা সম্ভব ? পুষ্টিবিদ এডমন্ড টিলি বাতলে দিচ্ছেন এর একটি সহজ কৌশল ।
‘হ্যালো ফিটনেস’ নামের জার্নালে প্রকাশিত একটি লেখায় এডমন্ড জানিয়েছেন, এই সহজ ঘরোয়া কৌশলের কথা । তিনি বলছেন, খাওয়ার আগে স্রেফ এক গ্লাস কুসুম-গরম জল খেয়ে নিন । তাতে কী হবে? এডমন্ড বলছেন, হালকা-গরম জল আসলে ক্ষুধাবর্ধক । কাজেই খাওয়ার আধ ঘন্টা খানেক আগে এক গ্লাস হালকা-গরম জল আস্তে আস্তে চুমুকে চুমুকে পান করুন । তাতে শুধু যে খিদে বাড়বে তা নয়, বরং খাওয়ার আগে এই কৌশল গ্রহণ করলে বেশি খাওয়াও আটকানো যাবে । কারণ গরম জল খেতে বসার আগেই অনেকটা পেট ভরিয়ে দেয় ।
কিন্তু এই কৌশল অবলম্বন না করলে কী হতে পারে ? এডমন্ডের ব্যাখ্যা, রাত্রে শুয়ে অনেকেই নিদ্রাহীনতা, ঘুম ভেঙে যাওয়া, কিংবা হাঁসফাঁস করার মতো সমস্যায় ভোগেন । তাঁরা বুঝতে পারেন না যে, আদপে হার্ট বার্ন, অম্বল কিংবা গ্যাসের মতো পেট-ঘটিত অস্বস্তির কারণেই এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় । এমনটা দিনের পর দিন চলতে থাকলে, রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়, এবং শরীরে চর্বি জমে । পরিণামে হার্ট দুর্বল হয়ে যায় । এর ফলে স্ট্রোক এবং হৃদরোগের মতো সমস্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পায় । রোজ রাত্রে খেতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হালকা-গরম জল এই বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কমাতে পারে
No comments:
Post a Comment