তিনি বলেন, দেশবিরোধী বহু 'গোপন এজেন্ডা' বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জঙ্গিবাদকে সামনে আনা হয়েছে। মানুষ যাতে জঙ্গিবাদী তৎপরতার আলোচনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে, আর এই ফাঁকে অশুভ ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা যায়।
'গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, নির্বাচন চায় না। নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারলে তারা হেরে যাবে এই আশংকা থেকে উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদের সাইনবোর্ডকে সামনে নিয়ে এসেছে এবং এটাকে পৃষ্টপোষকতা করছে' দাবি করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের রক্তাক্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারের নানা তত্ত্ব ও তর্জন-গর্জন দেশবাসী শুনেছে। কিন্তু নির্মূল তো দূরে থাক, সম্প্রতি উগ্রবাদীদের সহিংস ঘটনায় মনে হচ্ছে, এদের নেটওয়ার্ক আরও বেশি বিস্তৃত হয়েছে।
রিজভী আহমেদ বলেন, 'জঙ্গিবাদ নিয়ে আইজিপির বক্তব্যের সঙ্গে র্যাবের ডিজির বক্তব্যের কোনো মিল নেই। জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতার একটা বিষয় চলছে। একটা ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অন্য দলের ওপর তারা দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। তাতে স্পষ্ট মনে হয়, এই ঘটনাগুলো এবং উগ্রবাদের সঙ্গে সরকারেরই একটা সম্পর্ক আছে।'
এসময় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চুক্তির বিরোধিতা করে তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তি একটি দেশের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোপনীয়তা বলে কিছু থাকবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এ ধরনের চুক্তি হলে শক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারত নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হবে বিপন্ন এবং সার্বভৌমত্ব দুর্বল হবে। এ চুক্তি দেশের জনগণ কখনোই মানবে না।
প্রধানমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়ে একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসন বা নির্বাহী বিভাগের দূরত্ব তৈরি করছে বলে প্রধান বিচারপতি অভিযোগকে 'যৌক্তিক' বলেও অভিহিত করেন তিনি।
রিজভী আহমেদ বলেন, 'প্রধান বিচারপতির অভিযোগের বিষয়টি এখন সর্বমহলে আলোচিত হচ্ছে। কী পরিমাণ ভুক্তভোগী হলে স্বয়ং প্রধান বিচারপতিও ক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাহী হস্তক্ষেপের বিষয়ে অভিযোগ তুলেন।'
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


No comments:
Post a Comment