Social Icons

Sunday, March 19, 2017

মুসলিমপ্রধান তিন দেশে মার্কিন অভিযান জোরদার হচ্ছে



কমান্ডারদের মর্জিমাফিক সামরিক হামলার অনুমতি দিয়েছেন ট্রাম্প


মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দমনের নামে ইয়েমেন, লিবিয়া আর সোমালিয়ায় সামরিক অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহত্তর সামরিক লক্ষ্য অর্জনে মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশগুলোতে ‘কৌশলগত প্রভাব সৃষ্টি’র স্বার্থে মার্কিন কমান্ডারদের স্বাধীনভাবে আইএসবিরোধী অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে।

এজন্য প্রেসিডেন্টের অনুমোদন নিতে হবে না তাদের। পাশাপাশি অভিযানে ড্রোন ব্যবহারের অধিকার পেতে যাচ্ছে তারা। তবে সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের নাম করে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হলেও বিশ্লেষকরা এসব অভিযানে জঙ্গিবাদ হ্রাসের সম্ভাবনা দেখছেন না। ট্রাম্প প্রশাসনের তৎপরতা উল্টো জঙ্গিবাদকেই উস্কে দিচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। খবর সিএনএনের।

দায়িত্ব নেয়ার মাত্র পাঁচ দিন পর এক ডিনারে বসে ইয়েমেনে এক বিশেষ অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ১ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্প আল কায়দার বিরুদ্ধে ওই অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্ত দিতে গোয়েন্দাদের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজনটাও বোধ করেননি ট্রাম্প। ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু নিহত হয়। অভিযান চালাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন একজন মর্কিন সেনা।

শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সিএনএন দাবি করে, হোয়াইট হাউসের কাছে লিবিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেনে অনেক দিন ধরেই এমন ‘স্বাধীন অভিযান’ পরিচালনার অনুমতি চাইছিল সেনাবাহিনী। অনুমতি মেলায় এখন থেকে মার্কিন কমান্ডাররা স্বাধীনভাবে এ তিনটি দেশে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এজন্য আলাদা করে তাদের প্রেসিডেন্টের কাছে অনুমতি নিতে হবে না। সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানে ওবামা প্রশাসন আগেই ওই অনুমতি দিয়ে রেখেছিল।

পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা জানান, গত দুই সপ্তাহে ইয়েমেনে প্রায় ৪০টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই আগামী দিনগুলোতে অভিয়ান চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করতেন, অভিযানের ব্যর্থতা ও বিতর্ক এড়াতে হোয়াইট হাউসের অনুমোদন ও সংশ্লিষ্টতা জরুরি। সে কারণে প্রেসিডেন্ট ওবামা একবারই স্বাধীন অভিযানের অনুমতি দিয়েছিলেন, যখন মার্কিন সেনাসদস্য শত্রুপক্ষের সরাসরি হুমকির মুখে পড়েছিলেন। সে সময় ‘আত্মরক্ষার’ জন্য হোয়াইট হাউসের অনুমতি ছাড়াই হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে পেন্টাগন।

তবে সোমালিয়াতেও অনেকবার এ ঘটনা ঘটেছে। সোমালিয়ায় স্থানীয় সরকারি বাহিনীকে পরামর্শ প্রদান করে মার্কিন বিশেষ বাহিনী। সেখানেও হোয়াইট হাউসের অনুমোদন ছাড়া ওই বাহিনী অভিযানে গেছে বলে জানায় সিএনএন। ওবামা তার দায়িত্বকালের শেষ সময়ে লিবিয়ার সির্তে এলাকায় হামলা চালানোর অনুমতি দেন। একটা সময় সেখানে আইএসের আধিপত্য ছিল। সেখান থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে সির্তে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে এক ঘোষণায় দাবি করে মার্কিন সরকার।

মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস সোমবার বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাঝে মাঝে স্থান ও কালভেদে সামরিক বাহিনীকে সুযোগ দেয়। সির্তের অভিযানের সময় এ সুযোগই দিয়েছিল পূর্ববর্তী প্রশাসন।’

 গৃহযুদ্ধের কারণে অস্থিতিশীল অবস্থা ইয়েমেনেও। দেশটির আদিবাসী এলাকায় আল কায়েদা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। সোমালিয়ার অবস্থাও প্রায় একই। সন্ত্রাসী সংগঠন আল শাবাবের সঙ্গে যুদ্ধ লেগেই আছে সরকারি বাহিনীর।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates