Thursday, March 23, 2017
ওয়াশিংটনে ৬৮ দেশের বৈঠকে আইএসকে নির্মূলের প্রত্যয়
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন গত বুধবার বলেছেন আইএস ও আল কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দ্বিতীয় ধাপে ইরাক ও সিরিয়ায় ফিরে যাওয়া শরণার্থীদের সহায়তার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপদ অঞ্চল গঠন করা হবে। তবে এই স্থিতিশীল এলাকাগুলো কোথায় কোথায় গঠন করা হবে তা তিনি জানাননি। আইএসকে পরাজিত করার জন্য ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসে ৬৮টি দেশের প্রতিনিধিরা। ওয়াশিংটনে বৈঠক শেষে ৬৮টি দেশের প্রতিনিধিরা আইএসকে নির্মূলের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ঐ বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএস এবং আল কায়েদার ওপর চাপ বাড়ানো হবে। নিরাপদ অঞ্চল গঠনের মাধ্যমে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়বে। সিরিয়ায় যুদ্ধে জড়ানোর ব্যাপারে খুব সাবধানে পা ফেলেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা। সিরিয়ায় নো ফ্লাইজোন গঠনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে সেখানে বিমান শক্তি বাড়াতে হবে। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে নিরাপদ অঞ্জলগুলো গঠনের ব্যাপারে তারা কোনো নির্দেশনা পাননি।
আইএস সিরিয়ায় এক একটি এলাকা থেকে বিতাড়িত হচ্ছে। সেখানে আইএস বিরোধী তিনটি বাহিনীকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক এবং রাশিয়া। টিলারসন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আইএসকে দমন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক শক্তির মাধ্যমেই আইএসকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করবে।
ওয়াশিংটনে বৈঠক শেষে ৬৮টি দেশের প্রতিনিধিরা আইএসকে উপড়ে ফেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা সিরিয়ার রাক্কা এবং ইরাকের মসুলে যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় বাহিনীর অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তারা আইএস এর পলায়নরত যোদ্ধাদের প্রতিহত করারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সিরিয়া ও ইরাকে বিদেশি যোদ্ধাদের আগমন ৯০ ভাগ কমে গেছে। সন্ত্রাসীদের এই দেশ দুটিতে ঢোকা ও বের হওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন আইএস বিরোধী জোটের অংশীদারদের নিরাপদ অঞ্চল গঠনের জন্য অর্থ দেওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করবে তবে জোটের অন্য দেশগুলোকেও অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা বাড়াতে হবে। সম্প্রতি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা আইএসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার দ্বারপ্রান্তে।
আল জাজিরা।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment