মিসরের পশ্চিম সীমান্তে নিজেদের সেনাবাহিনীর বিশেষ দল মোতায়েন করছে রাশিয়া! উদ্দেশ্য লিবিয়া। আর এর মাধ্যমেই লিবিয়ায় নিজেদের ভূমিকা দৃঢ় করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।
এমনই অভিযোগ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের কূটনীতিকরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মার্কিন কূটনীতিকদের দাবি, লিবিয়ার সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতারকে সমর্থনের অংশ হিসেবেই বিশেষ সেনা পাঠানোর কাজ করছে রাশিয়া। সম্প্রতি বেনগাজি ডিফেন্স ব্রিগেডের (বিডিবি) হামলায় নিজের নিয়ন্ত্রিত তেল বন্দর থেকে পিছু হটেছেন খলিফা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লিবিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা মিসরের সিডি বারানিতেই রাশিয়ার বিশেষ সেনার উপস্থিতি দেখা যায়। একই সঙ্গে দেখা গেছে ড্রোনও!
মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা জানান, ২২ সদস্যের একটি বিশেষ দল আছে সেখানে। তাঁরা রাশিয়ান, তবে তাঁদের অভিযানের বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট নন তাঁরা।
তবে এসব ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আর নিজেদের মাটিতে রাশিয়ার কোনো সেনা নেমেছে বলে অস্বীকার করেছে মিসর।
মিসর সেনাবাহিনীর মুখপাত্র তামের আল রিফাই বলেন, ‘মিসরের মাটিতে কোনো বিদেশি সেনা নেই। এটা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।’
রয়টার্স নিজেও বিষয়টির ব্যাপারে নিশ্চিত নয় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এদিকে বেনগাজির এক সেনা কমান্ডার মোহামেদ মানফোর দাবি করেন, খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) রাশিয়া থেকে কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা গ্রহণ করে না।
যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক পশ্চিমা রাষ্ট্র লিবিয়ায় গত দুই বছর ধরে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছে। দেশটি থেকে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) সরানোর জন্য খোদ যুক্তরাষ্ট্রই সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে।
রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খলিফা হাফতারের সঙ্গে রাশিয়ার কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছেন। ব্যাপারটি এমন সময় ঘটছে, যখন সিরিয়ার নেতা বাশার আল আসাদের পক্ষে দাঁড়ানোয় পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর বিরক্ত।
No comments:
Post a Comment