ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অভিবাসী গ্রেফতার বেড়েছে’
বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতা আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। দক্ষ শ্রমিকদের কাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে গতকাল মঙ্গলবারই নির্বাহী আদেশ জারি করার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এদিকে এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দেশটিতে অভিবাসী গ্রেফতার ৩২.৬ শতাংশ বেড়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্থানীয় সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দক্ষতাপূর্ণ কাজে বিদেশিদের নিয়োগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছেন। ‘মার্কিন পণ্য ক্রয় ও মার্কিনিদের নিয়োগ করার লক্ষ্যে’ এ আদেশ জারি করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানান। ধারণা করা হচ্ছে, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় মার্কিন অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সংস্কার ও দেশে উৎপাদিত পণ্য কিনতে জনগণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ।
মার্কিন অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার দাবিতে এর আগে ট্রাম্প একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করলেও সেগুলোর আইনি বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই নির্বাহী আদেশে বিদেশি শ্রমিকের যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার ক্ষেত্রে সব আইন কড়াকড়িভাবে পালনের কথা বলা হবে।’ এছাড়া ওই নির্বাহী আদেশে মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থায় ‘ভুয়া’ শ্রমিকদের খুঁজে বের করার নির্দেশও দেওয়া হবে ওই ফেডারেল বিভাগগুলোকে। মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ সময়ে বিদেশি দক্ষ শ্রমিকদের জন্য এইচ-১বি ভিসার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৩৬ হাজার। চলতি বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯৯ হাজারে।
এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার প্রথম সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় অভিবাসী গ্রেফতার বেড়েছে ৩২.৬ শতাংশ। গত তিন মাসে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ২১ হাজার ৩৬২ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। গত বছর প্রথম তিন মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১০৪ জন। বিগত বছরগুলোতে যেসব শরণার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের তিন চতুর্থাংশের বিরুদ্ধেই গুরুতর অপরাধের অভিযোগ ছিল। কিন্তু এবার যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, যাদেরকে হুমকি মনে করা হয়েছে, তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। রয়টার্স ও আল জাজিরা।
No comments:
Post a Comment