ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল হোসাইন দেহকান তার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের ইরান বিরোধী সাম্প্রতিক বক্তব্যকে হস্তক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। খবর প্রেস টিভির।
ম্যাটিস সম্প্রতি এক দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ইরানের বর্তমান ইসলামি শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা জরুরি।
মঙ্গলবার জেনারেল হোসাইন দেহকান এ সম্পর্কে আরও বলেন, ‘অন্য দেশগুলোর কি করা উচিত সে বিষয়ে কথা না বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও দেশটির শাসকের উচিত নিজ দেশের সমস্যাগুলো সমাধানের চিন্তা করা এবং এসব সমস্যার মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ করা।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে বর্তমান মার্কিন সরকারেরই পতন ঘটতে পারে তা নয়, একইসঙ্গে দেশটির রাজনৈতিক ব্যবস্থাও বহু মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।’
জেনারেল হোসাইন দেহকান মার্কিন শাসকগোষ্ঠীর দাম্ভিক ও মোড়লসুলভ স্বভাব, অন্য জাতিগুলোর শক্তিকে উপেক্ষা করা এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর ব্যাপারে তাদর অজ্ঞতার দিকগুলো তুলে ধরে বলেছেন, ‘এসব স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের কারণেই ম্যাটিসের মতো লোকদের বুদ্ধিবৃত্তি লোপ পায়, ফলে ওরা এ ধরনের মন্তব্য করে।তাদের এ জাতীয় মন্তব্য তীব্র জ্বরে আক্রান্ত ও অসুস্থ লোকদের প্রলাপের সমতুল্য বলেও ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মত প্রকাশ করেন।’
এদিকে ইরান সরকারের মুখপাত্র ‘মুহাম্মাদ বাকের নওবখত’ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মার্কিন সরকারকে যুদ্ধবাজ ও মাত্রাতিরিক্ত লোলুপ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন,'ইরানে যখন নির্বাচনের মতো বড় ধরনের এক গণতান্ত্রিক ঘটনা ঘটেছে তখন একই অঞ্চলে মার্কিন সরকার অগণতান্ত্রিক সৌদি সরকারের সঙ্গে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ও মানবাধিকারের বুলি আওড়াচ্ছে। আসলে মার্কিন সরকার তার স্বার্থ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়েই ভাবে না।’
ম্যাটিস সম্প্রতি এক দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, ‘ইরানে যেহেতু গণতন্ত্র নেই তাই যে কোনো জটিল বিষয়ে ওই দেশটির সঙ্গে আলোচনা কিংবা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অর্থহীন।’
তিনি বলেন, ‘তেলআবিব থেকে কায়রো পর্যন্ত সবাই তাকে এটা বলেছেন যে, এ অঞ্চলে সংকটের অন্যতম কারণ ইরান এবং স্থিতিশীলতা বিনষ্টে দেশটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে।’
No comments:
Post a Comment