পাশের বিশাল রাষ্ট্র ভারত। ঘুরে দেখার মতো আছে অনেক কিছু। ভারতের দিল্লি নানান ইতিহাস, রাজ-রাজরাদের গল্পে মুখর একটি নগরী। একবার অন্তত শহরটি ঘুরে দেখার স্বপ্ন হয়ত আছে আপনার মনেও। কিন্তু ভাবছেন, দিল্লি মানেই তো অনেক খরচ! হ্যাঁ, খরচ তো বটেই। আর পর্যটকদের জন্য সে খরচ স্থানীয়দের তুলনায় বেশি। তবে কিন্তু ট্রিক্স মেনে চললে খরচ আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারবেন সহজেই। যেমন-
কোথায় থাকবেনঃ
দিল্লিতে কম খরচে থাকার জন্য স্টেশন বা ট্যুরিস্ট এরিয়াগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। মূল শহর থেকে ভেতরের দিকেও আপনি ভালো হোতেল পাবেন, কিন্তু সেগুলোতে খরচ নেমে আসবে ৩ ভাগের ১ ভাগে।
টাকা পরিবর্তনঃ
ডলার থেকে রুপি করার ক্ষেত্রে ৫০ ডলার ভাঙ্গাতে চাইলে খরচ বেশি পরবে। অর্থাৎ কম রুপি পাবেন। সর্বনিম্ন ১০০ ডলার ভাঙ্গান। রামকৃষ্ণ মিশন বা দিল্লি জামে মসজিদের সামনে ভালো দাম পাবেন।
স্বামী নারায়ণ আকশারধাম, দিল্লী। ছবি- সংগৃহীত
কীভাবে ঘুরবেনঃ
দিল্লিতে যাতায়াত খরচ কমাতে চাইলে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মেট্রো রেল ব্যবহার করা। মেট্রো স্টেশন থেকে একটা মেট্রো কার্ড করে নিন। এরপর ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়ান। খরচ অনেক কম হবে।
কী খাবেনঃ
দিল্লিতে ইচ্ছেমতো স্ট্রীট ফুড খান। এখানকার স্ট্রীট ফুডের অনেক সুনাম। দিল্লির বিখ্যাত লাড্ড্য খেতে চাদনী চকের হালদীরাম যেতে পারেন। বিরিয়ানি আর কাবাব খেতে হলে যা দিল্লি জামে মসজিদের সামনের রেস্তরাঁয়। করিমস এও যেতে পারেন।
গুগল ম্যাপে দিল্লি।
কেনাকাটাঃ
দিল্লিতেও বাজেটের মাঝে শপিং করা সম্ভব। মেট্রো রেলে চেপে চলে যান কারোলবাগ। তবে কারোলবাগ আমাদের নিউমার্কেট, গাউসিয়ার মতোই। দরদাম করে কিনবেন। ভালোমতো দেখে নেবেন। কুতুব মিনারসহ দর্শনীয় জায়গাগুলোর আশপাশ থেকে কেনাকাটা করবেন না। এতে খরচ কম হবে। আবার ব্রান্ডশপ থেকেও নিতে পারেন। এগুলোতে ভালো ছাড় চলে অনেক সময়।
আবহাওয়াঃ
দিল্লির আবহাওয়া সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখলে সেটিও আপনার খরচ কমাবে! দিল্লীতে রাতে ভীষণ শীত। সকালে কুয়াশায় চারদিক ছেয়ে থাকে। কিন্তু বেলা বাড়তে না বাড়তেই কড়া রোদ উঠে যায়। দিল্লির শীত মোকাবেলা করার জন্য দেশ থেকে ভারী পোশাক না কিনে ওখান থেকে কেনাই ভালো। বুঝে উপযুক্ত পোশাকটি কিনলে অর্থ অপচয় রোধ হবে।
No comments:
Post a Comment