ক্রেমলিন বুধবার জোর দিয়ে বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলের সঙ্গের রাশিয়ার এক আইনজীবীর মধ্যে সাক্ষাতের সঙ্গে তারা কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয়। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা বলেই দিয়েছি যে, এই পুরো কাহিনীর সঙ্গে আমাদের কোনই যোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘এই আইনজীবীর সঙ্গে কখনোই আমাদের কোন যোগাযোগ হয়নি। আর তাই এর সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই এবং আমাদের কিছু বলারও নেই। আমাদের সঙ্গে তার (আইনজীবী) সামান্যতম সম্পর্কও নেই।’ পেসকভ ভেসেলনিৎস্কয়া নামের ওই নারী আইনজীবী রাশিয়ার সরকারের হয়ে কাজ করছিলেন, এমন দাবিকে ‘অযথার্থ ও অযৌক্তিক’ বলে উড়িয়ে দেন।
ভেসেলনিৎস্কয়া নিজেও রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা এবং হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে তার কাছে কোন ক্ষতিকর তথ্য থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার সকালে এক টুইট বার্তায় তার বড় ছেলেকে নির্দোষ বলে অভিহিত করেছেন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর ভূমিকা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা আরো উস্কে দেয়া কয়েকটি ই-মেইল ঘিরে নতুন বিতর্কের প্রেক্ষাপটে ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার এ কথা বললেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে মঙ্গলবার কয়েকটি ই-মেইল প্রকাশ করে যাতে দেখা যায়, তিনি তার পিতার নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়ার সহায়তার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছেন। তিনি স্বীকার করছেন যে, হিলারি ক্লিনটনের ওপর নিক্ষেপ করতে মস্কোর কাছ থেকে ‘আবর্জনা’ পেতে তিনি পছন্দ করবেন।
টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার রাতে ফক্স নিউজে তার ছেলের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘গতরাতে আমার ছেলে একটি ভালো কাজ করেছে। সে ছিল খোলামেলা, স্বচ্ছ ও নির্দোষ। এটি রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উইচ হান্ট। দুঃখজনক!’
ই-মেইলগুলোতে দেখা যায়, একজন দোভাষী জুনিয়র ট্রাম্পকে বলছেন, তিনি খুবই উচ্চপর্যায়ের ও স্পর্শকাতর কিছু তথ্য পেতে পারেনÑ যা ট্রাম্পের প্রতি রাশিয়া ও এর সরকারের সহায়তার অংশ।জুনিয়র ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, ই-মেইলে রুশ সরকারের এটর্নি হিসেবে সনাক্ত হওয়া এক নারীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎটি নিষ্ফল অবস্থায় শেষ হয়। তিনি আরো বলেন, ওই সাক্ষাৎ সম্পর্কে তার পিতাকে কিছু জানাননি। কারণ, এতে হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে কাজের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
সিনিয়র ট্রাম্প বুধবার সংবাদ মাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, যখন আপনি ভুয়া সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে ‘সূত্র বলেন’ এই শব্দগুচ্ছ শুনবেন তখন এই সূত্র প্রায় ক্ষেত্রেই বানোয়াট এবং এর কোন অস্তিত্বই নেই।’
ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে কোনো খবরের কথা বলছেন তা পরিষ্কার নয়। কেননা, রাশিয়ার আইনজীবীর সাথে তার সাক্ষাতের খবর তার নিজের ই-মেইলের মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়। এএফপি।
No comments:
Post a Comment