ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ার ২৮ বছর বয়সী গৃহবধু পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলন। কিন্তু তার ‘শাস্তি’ এ ভাবে পেতে হবে কখনো ভাবেননি।
রবিবার রাতে প্রেমিকের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। ধর্ষকেরা ধর্ষণের পর ওই নারীর যৌনাঙ্গে কাচের ভাঙা বিয়ারের বোতল ঢুকিয়ে দিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূ এখন সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাঁইথিয়া পুর এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যের বাইরে থাকেন। বর্তমানে তিনি জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছেন। ওই দম্পতির ১৪ বছর বয়সী মেয়ে এবং ৯ বছরের ছেলেকে নিয়ে ওই গৃহবধূ বাড়িতে থাকেন। কয়েকটি বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। বছর চারেক আগে তার সঙ্গে পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।
পুলিশকে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা ভাবেন। গত সপ্তাহে সে কথা তিনি ওই যুবককে জানাতেই সমস্যার সূত্রপাত।
জানাযায়, গত শুক্রবার রাতে তারক ভাস্কর নামে ওই যুবক সাঁইথিয়া পুরনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে ডেকে নিয়ে যায় গৃহবধূকে। তার পর সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয় । কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে ওই গৃহবধূ এ বিষয়ে পুলিশকে কিছু জানাননি। তবে বাসস্ট্যান্ডের বেশ কয়েক জন যুবককে তিনি ধর্ষণের কথা বলেন। তার পরেই ওই যুবকেরা তারককে মারধর করে। এর পরেই ‘ক্ষেপে’ যায় ওই প্রেমিক। পরদিন শনিবার সকালে ওই গৃহবধূকে তিনি হুমকি দেন, ‘একা ধর্ষণ করেছি, এ বার গণধর্ষণ করব!’
কিন্তু, হুমকি যে বাস্তবের চেহারা নেবে সে কথা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি ওই গৃহবধূ। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন, রবিবার রাতে তিনি ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎই তার ঘরের দরজার খিল ভেঙে ঢুকে পড়ে তারক এবং তার দুই বন্ধু। এর পর ছেলেমেয়েকে খুন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে পাশের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন জন মিলে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। শেষে বিয়ারের একটি ভাঙা বোতল তার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার পর সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে ওই তিন জন।
যন্ত্রণায় চিত্কার করে কাতরাতে থাকেন ওই গৃহবধূ। কাদতে থাকে তার ছেলেমেয়েও। চিত্কারের সেই আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারাই সাঁইথিয়া থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তারককে গ্রেফতার করে। তিনিও বিবাহিত। তার দু’টি ছেলেমেয়ে রয়েছে।
মুম্বাই মিরর/ আনন্দবাজার।
No comments:
Post a Comment