রোহিঙ্গা সেজে ত্রাণ নিচ্ছে উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় বাঙালিরা। ভাষা আর চেহারার মিল থাকায় কে বাঙালি, আর কে রোহিঙ্গা তা নিশ্চিত করা কঠিন হওয়ায় এ সুযোগ নিচ্ছে স্থানীয়দের অনেকেই। ফলে অনেক রোহিঙ্গা ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তখন সন্ধ্যা ৬টা। পালংখালী বাজারের পাশেই সন্তান কোলে নিয়ে বসে ছিলেন রোকসানা। সারাদিন রাস্তার পাশে বসে কেবলমাত্র কিছু মুড়ি আর পুরনো কিছু কাপড় পাওয়ার কথা জানালো সে। তার দাবি ১০ দিন আগে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে এসেছে। তার স্বামীকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হত্যা করেছে বলেও জানায় পাশে থাকা সালেহা।
চাল বা ভাতের ব্যবস্থা তখনও অনিশ্চিত। রাতে কী খাবে এমন প্রশ্নের কোন উত্তর নেই রোকসানার কাছে। চোখে মুখে হতাশার চিহ্ন।
তবে চিত্র পাল্টে গেল তার থাকার জায়গা দেখতে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানালে। পাশে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত জায়গা ছাড়ার চেষ্টা তার। কিছুদূর গিয়ে দৌড় দিলো রোকসানা।
পালংখালীর একই রাস্তায় আরও কয়েকজনকে ত্রাণের বস্তা কাঁধে করে আসতে দেখা গেল। তারাও নিজেদের মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা বলে দাবি করলো। তাদের একজনের পিছু নিলে সেও পালিয়ে গেল।
ত্রাণের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আরও এক দল মহিলা সামনে পড়লো। স্থানীয়রাই বলছে এরা সবাই বাঙালি। আবার অনেক পুরনো রোহিঙ্গাও যোগ দিচ্ছেন ত্রাণের এ লাইনে।
তবে একটু দূরে গিয়ে দেখা মিললো বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার। তারা জানালো, এদের অনেকের কাছে সারাদিন আসেনি কোন ত্রাণের প্যাকেট। অনেকে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছেন। নকলের ভিড়ে আসল রোহিঙ্গাদের ভোগান্তি এখন কক্সবাজারে নিত্যদিনের ঘটনা।
No comments:
Post a Comment