Social Icons

Monday, September 18, 2017

আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলায় চলছে ‘সুটকেস পার্টির’ রমরমা ব্যবসা

আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলা আর দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশ ব্রাজিল, এক সময় দুটি দেশই পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল।
অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডার রাস্তায় কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলেই আপনি টের পাবেন এখানে লোকজনের ব্যবহার্য কাপড়-চোপড় কিংবা অন্যান্য অনুষঙ্গের বেশিরভাগটাই বিদেশী।
নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসই আসছে বিদেশ থেকে।
এই বিষয়টিকে পুঁজি করে অ্যাঙ্গোলায় গড়ে উঠেছে নতুন একদল ব্যবসায়ী, যাদের বড় অংশটি নারী।
তাদের প্রায় সকলেই পণ্য আমদানির বড় কোন আনুষ্ঠানিকতায় না গিয়ে সুটকেসে করে জিনিসপত্র এনে বিক্রি করেন।
অনেকে একে 'সুটকেস ব্যবসা'ও বলে থাকেন।
লুয়ান্ডার ব্যবসায়ী জুডিথ টমাসছবির কপিরাইটবিবিসি
Image captionলুয়ান্ডার ব্যবসায়ী জুডিথ টমাস
লুয়ান্ডার ব্যস্ত এক শপিং মলে জুডিথ টমাসের দোকান। ব্যস্ত দোকান তার, সারাক্ষণ ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে। দোকানের কাপড়চোপড় আর জুতোসহ বেশিরভাগ জিনিস সরাসরি ব্রাজিল থেকে কিনে সুটকেসে করে দেশে আনেন তিনি।
এরপর অ্যাঙ্গোলার বাজারে বিক্রি করেন। বলছিলেন বছরে কোটি ডলার রোজগার তার।
এই শপিং মলের রংচঙ এ বিদেশী কাপড়চোপড় কিনতে পুরো লুয়ান্ডা থেকে লোকজন আসে। আর কাপড়ের নকশা দেখলেই বুঝবেন সেসব ব্রাজিলের হালআমলের সব ডিজাইন।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে যে ফ্যাশন চলছে, এখানেও তাই। আর সেক্ষেত্রে ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনে দেখানো জনপ্রিয় সব সোপ অপেরার পাত্রপাত্রীরা যেসব পোশাক আশাক পড়েন, তাই এখানে জনপ্রিয়।
ব্রাজিলের সংস্কৃতি আর জীবনাচারের সঙ্গে খুবই মিল রয়েছে অ্যাঙ্গোলার বাসিন্দাদের। এর কারণ ঐতিহাসিকভাবে এই দুই দেশই এক সময় পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল। ফলে ব্রাজিলে ফ্যাশনে যখন যা বাজার চলতি, তখনই তার চাহিদা বাড়ে এই দেশে।
কিন্তু বিক্রেতা বা আমদানিকারকেরা বলছেন, ইদানীং ক্রমে একই নকশার কাপড়চোপড় তারা চীন থেকে আনতে শুরু করেছেন।
তারা বলছেন, চীনে যাওয়া আসা ব্রাজিলে যাবার থেকে সহজ আর দামও তুলনামূলকভাবে কম।
ডোমিনিক বাইয়াও এমন একজন ব্যবসায়ী, যিনি ব্রাজিলের বদলে এখন চীন থেকে পোশাকাদি আর ঘর সাজানোর ছোটছোট আসবাবপত্র আনছেন।
তিনি বলছেন, চীনের ভিসা পাওয়া অনেক সহজ, সেই সঙ্গে দামের ব্যপারটি তাকে চীনে যেতে উৎসাহিত করেছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে লুয়ান্ডায় জীবনযাপনের খরচ অনেক বেশি। এর প্রধান কারণ বাজারের জিনিসপত্রের প্রায় পুরোটাই আমদানি করা।
দেশটির এমনকি একেবারে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরাও বিদেশী জিনিস ব্যবহার করেন।
আর সেকারণেই এই ব্যবসায়ীরাও ক্রমেই দেশবিদেশ যাচ্ছেন নতুন নতুন চাহিদার যোগান দিতে।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates