কক্সবাজার জেলার উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা ইনানির পাটুয়ার টেকের মোহনায় অনুপ্রবেশকারী শতাধিক রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় মাঝি-মাল্লাসহ ৬৮জন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৯ জন শিশু, ৫ জন নারীসহ ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় ৮ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং ১০ জনকে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উদ্ধারকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতিপূর্বে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময়ে ট্রলার, ফিশিং বোটসহ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মিয়ানমার থেকে ইনানি উপকূল হয়ে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। অনুরূপ বৃহস্পতিবার চার মাঝিমাল্লাসহ শতাধিক রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ফিশিং ট্রলার মিয়ানমারের বুচিডং থেকে রওনা হয়ে সাগর পথে ইনানির কাছাকাছি পাটুয়ার টেক এলাকার সৈকতে উঠার চেষ্টা করে। এসময় প্রচন্ড ঢেউয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীর খবরের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন, ইনানি পুলিশ ফাঁড়ি, কোস্টগার্ড স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় ৫ জন নারী ও ৯ জন শিশুসহ ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় ১৮ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার ও উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া বুচিডং এলাকার লালু মিয়া (৪৫) জানান, তাদের ভাড়া করা ফিশিং বোটে মাঝিমাল্লাসহ শতাধিক নারী পুরুষ শিশু ছিল। বোটটি পাটুয়ার টেক উপকূলে উঠার সময় ঢেউয়ের আচঁড়ে ডুবে যায়।
ইনানি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ষ্টালিং বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধার করা শিশুদের বয়স ৩-৬ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তারা পাটুয়ার টেক নিচে এলাকায় উঠার সময় ট্রলারটি ডুবে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃত ও জীবিত উদ্ধার করা সকলেই রোহিঙ্গা নাগরিক।
উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. কায়কিসলু জানান, উদ্ধার অভিযান এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার করা ১৪ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment