জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া ভাষণের নিন্দা জানিয়েছেন বেশকজন বিশ্বনেতা। অনেক বিশেষজ্ঞও বলছেন, তার বক্তব্য বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। মঙ্গলবার জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো দেয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়া, ইরানসহ বেশকটি দেশের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইঙ্গিতটা ছিলো আগেই। সাধারণ অধিবেশনের মঞ্চে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে এক হাত দেখে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশেষে ট্রাম্প বললেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে, উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। বললেন, কিম একজন রকেট ম্যান, যিনি হাঁটছেন আত্মহত্যার পথে।
জাতিসংঘের মঞ্চে কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ধরণের বক্তব্য নতুন, বলছেন বিশ্লেষকরা। এপির হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি জস লিডারম্যান বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারে আগেও কিম জং উনকে রকেট ম্যান বলেছেন। কিন্তু, সাধারণ অধিবেশনে একই কাজ করা, ভিন্ন একটা বিষয়। এটি একটি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা। যার মাধ্যমে মিস্টার প্রেসিডেন্ট অন্য দেশকে দমন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।"
ইরান প্রসঙ্গ ট্রাম্প বলেন, ওটা একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফ বলেছেন, ট্রাম্পের কথাবার্তা মধ্যযুগীয়। ৪১ মিনিটের ভাষণে ভেনেজুয়েলা, কিউবা ও সিরিয়ার শাসকদেরও কড়া চোখে দেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর পাল্টা নিন্দা জানিয়েছেন অনেক দেশের নেতা।
ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ আরেজা বলেন,"আজ যা শুনলাম, তা বিশ্ববাসীর জন্য দুঃখজনক, অগ্রহণযোগ্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখানে একজন সেনাশাসকের মতো বক্তব্য দিলেন। যেন তার সেনাবাহিনীকে অন্য দেশে অভিযানে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন।"
ট্রাম্পের বক্তব্য শুরুর আগেই চেয়ার ছেড়ে উঠে যান জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। বক্তব্যের পর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি পিয়ংইয়ং।
Wednesday, September 20, 2017
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment