Social Icons

Tuesday, September 19, 2017

অং সান সুচি যে চারটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে ধরা খেলেন

রাখাইনে সেখানকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সামরিক বাহিনীর নৃশংস নির্যাতন শুরু হয়েছে গত ২৫ আগস্ট থেকে। এর তিন সপ্তাহ পর এসে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নেত্রী অং সান সুচি।
তবে তার এই বক্তব্যে মিথ্যা তথ্য, সত্যকে লুকানোর প্রয়াস ও সামরিক বাহিনীকে আড়াল করার চেষ্টা অত্যন্ত প্রকট হয়ে ধরা পড়েছে। চারটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধরা খেয়েছেন সুচি।
প্রায় আধা ঘণ্টার ভাষণে সুচি কমপক্ষে চারটি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তার দেওয়া আরও একটি তথ্য সন্দেহজনক। ভাষণে তিনি রাখাইনের ভয়াবহ মানবিক সংকটময় পরিস্থিতিকে ‘মিয়ানমারের অনেকগুলো সমস্যার একটি’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া, সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি এই ভাষণে।
সু চি’র দেওয়া মিথ্যা ও সন্দেহজনক তথ্য
সুচি তার বক্তব্যে বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সামরিক বাহিনীর অভিযান বন্ধ আছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি তথ্য। কারণ, সেপ্টেম্বর ১৩ তারিখেও মিয়ানমার সীমান্তে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। ৪০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রদূত ওই দিন কক্সবাজার সফরকালে এ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও প্রতিদিনই মিয়ানমারে সহিংসতার রিপোর্ট করেছে।
ভাষণে সুচি বলেছেন, রাখাইনে সবার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুযোগ-সুবিধা আছে। কিন্তু ২০১২ সাল থেকেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গারা।
সুচি তার দেওয়া ভাষণের এক পর্যায়ে বলেন, ৫০ শতাংশ রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু রাখাইনে ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার পরই গত তিন সপ্তাহে বাংলাদেশে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। আগে থেকেই বাংলাদেশে অবস্থান করছে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা।
অর্থাৎ, কেবল বাংলাদেশেই আছে কমপক্ষে আট লাখ রোহিঙ্গা। সুচি’র বক্তব্য সঠিক হলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মোট সংখ্যা হওয়া উচিত ১৬ লাখ। কিন্তু তারা নিজেরাই বলে থাকে, রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১১ লাখ।
সুচি বলেছেন, মুসলিমরা মিয়ানমার থেকে কেন দলে দলে পালিয়ে যাচ্ছে, সেটি তার কাছে রহস্যজনক একটি বিষয়। তিনি নিজেই এর কারণ জানতে চান। রাখাইনে সহিংসতা শুরুর তিন সপ্তাহ পর এসে যদি তিনি দলে দলে মুসলিমদের পালিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে চান, তবে এতদিন তার সরকার রাখাইন নিয়ে এতগুলো বিবৃতি কিভাবে দিলো?
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান এই নেত্রীর বক্তব্যে উঠে আসা আরেকটি সন্দেজনক তথ্য হলো, তিনি কূটনীতিকদের রাখাইন সফরের কথা বললেও মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ও মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়ার কথা বলেননি। এ মাসের প্রথম দিকে মিয়ানমার সরকারের অধীনে একটি মিডিয়া দল সেখানে গেলে তারা মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হামলার চিত্র দেখতে পান।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates