ইঞ্জেকশন নিন একদিন। নিশ্চিন্তে থাকুন নব্বই দিন। মহিলাদের জন্য নতুন গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন ‘অন্তরা’ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে সরকারি হাসপাতাল থেকে। পোষাকি নাম ডেপো মেডরক্সি প্রোজেস্টেরন অ্যাসিটেট বা ডিএমপিএ। কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক অন্তরা ব্যবহারের ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করলেও তেমন সাড়া নেই মহিলাদের মধ্যে। চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে এই বিষয়টি-ই।
এখন গর্ভনিরোধক হিসেবে মহিলারা ব্যবহার করেন ট্যাবলেট। পুরুষরা ব্যবহার করেন কন্ডোম। কপার-টি-সহ আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তরা ইঞ্জেকশনের সবচেয়ে সুবিধা হল , একবার নিলে তিনমাস নিশ্চিন্ত। পার্শ্বপ্রক্রিয়াও সামান্য। প্রথমবার একটু পেটের সমস্যা হতে পারে। দ্বিতীয়বার থেকে তাও হয় না।
অন্তরার খুঁটিনাটি
---ইঞ্জেকশনের মেয়াদ ৩ মাস
---টানা ২ বছর নেওয়া যায়
---তারপর শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে
---হাতে বা নিতম্বের পেশিতে নিতে হয় ইঞ্জেকশন
--- সন্তান প্রসবে পর প্রসূতিদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে
এর ফলে একদিকে প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর হার কমবে। অন্যদিকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কৃত্তিমভাবে প্রোজেস্টেরন হরমোন থেকে ডিএমপিএ গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন তৈরি হয়। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু উৎপাদনে বাধা দেয় এই হরমোন।
কিছু সাবধানতা
---ইঞ্জেকশন নেওয়ার জায়গা ম্যাসাজ করা যাবে না
---গরম শেক দেওয়া যাবে না
---না হলে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে
--কন্ডোমের মত এইডস বা সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিস আটকানোর ক্ষমতা নেই অন্তরার
অন্তরা নিয়ে হইচই-ও হচ্ছে। অনেকের দাবি, এই ইঞ্জেকশন ঋতুচক্রে প্রভাব ফেলে। হাড়ে ক্ষয় ধরায়। এমনকি বাড়িয়ে দেয় ক্যানসারের সম্ভাবনাও। যদিও, ডিএমপিএ নিয়ে এমন সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
No comments:
Post a Comment