চিত্রনায়ক সালমান শাহ অপমৃত্যুর মামলায় আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবির সেই ভিডিওর বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২০ নভেম্বর তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার এ আদেশ দেন।
এর আগে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী আইনজীবীর মাধ্যমে ওই ভিডিওবার্তা আদালতে সিডি আকারে উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া এ মামলার নারাজি আবেদনের আরেক আসামি রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। তবে এ বিষয়ে বিচারক কোনো আদেশ দেননি। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় থাকা রুবি গত ৭ আগস্ট ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন, যা এখন ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। আসামি রুবির ভিডিওবার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে এবং ঘটনার তদন্তে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিচারক এসব বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২০ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় অভিনেতা সালমান শাহর লাশ। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। এর ১০ মাস পর তদন্ত এক নাটকীয় মোড় নেয়। সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই রিজভী আহমেদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বাসায় অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রিজভী আহমেদ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে দাবি করে বসেন, সালমানকে খুন করা হয়েছে। তার দাবি, এই হত্যার পেছনে আছেন সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, তার শাশুড়ি লতিফা হক, চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের অভিনেতা ও সালমানের বন্ধু আশরাফুল হক ওরফে ডন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। এদের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে তিনি (রিজভী) নিজেও ভাড়াটে খুনি হিসেবে যুক্ত হন। পরে সালমানের বাবা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে নালিশি হত্যা মামলা করেন। আদালত দুটি অভিযোগ একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০০২ সালে মারা যান সালমান শাহর বাবা।
No comments:
Post a Comment