রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় কানাডায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি উঠেছে। রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ছাড়াও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিকরা বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে এ দাবি তুলে ধরছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ইন্টারনেটে এ বিষয়ে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইন চলছে, যেখানে পাঁচ দিনে প্রায় নয় হাজার মানুষ সই করেছেন। শনিবার টরন্টোতে কয়েকটি সংগঠন আয়োজিত এমন এক সমাবেশে অংশ নেন খোদ কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। রাখাইনে চলমান সেনা অভিযান সম্পর্কে ফ্রিল্যান্ড বলেন, মিয়ানমার সরকারের অভিযান মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। কানাডার সরকার এ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। মিয়ানমারের নেত্রী সু চিকে ২০১২ সালে কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। কানাডার ১৫০ বছরের ইতিহাসে বিশ্বের মাত্র ছয়জনকে সম্মানসূচক এ নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছয়জনের মধ্যে সু চিসহ চারজন আবার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
কানাডার প্রচলিত আইনে কোনো নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা কানাডা বা কানাডার বাইরে সরাসরি বা অন্য কোনো উপায়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধে জড়িত হলে, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে ইন্ধন জোগালে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
Monday, September 18, 2017
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment