ধর্ম যার যার উৎসব সবার। যুক্তরাজ্যে বাঙ্গালি কমিউনিটিগুলো অনেকটা এভাবেই বসবাস করে আসছে দীর্ঘ সময়। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বেড়েই চলেছে ধর্মীয় বিদ্বেষ। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত বেশকিছু সন্ত্রাসী হামলার পর বিদ্বেষের আগুনে আরও হাওয়া লেগেছে। এরই জেরে সম্প্রতি ফিলাডেলফিয়া সিটি সংলগ্ন আপার ডার্বিতে বাংলাদেশীদের পরিচালিত দুটি মসজিদ ও ইসলামিক স্কুলে হামলার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফিলাডেলফিয়া সিটিতে বসবাসরত এক মুসলিম বাঙ্গালি জানান, ১৯৯৭ সাল থেকে মসজিদ আল মদিনা নামের এই মসজিদটি পরিচালনা করে আসছেন বাঙ্গালিরা। মসজিদটির পুরাতন ভবনে ইসলাম শিক্ষা দেয়া হয়। আর নতুন ভবনে এক সঙ্গে প্রায় ১৫’শ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। এ এলাকায় কয়েক হাজার মুসল্লির বসবাস উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গত কয়েক দশকে এমন ঘটনা কখোনই ঘটেনি।
এর আগে গত মাসে ব্রিটেন ফার্স্ট নামে দলটির উপনেতা জেইডা ফ্রানসেনের এক টুইট বার্তায় একটি ভিডিওতে দাবি করেন, একজন মুসলিম অভিবাসী ক্রাচ নিয়ে চলা এক প্রতিবন্ধীর ওপর হামলা করেছেন। এরপর তিনি আরও দুই ব্যক্তির একইধরনের দুটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন মুসলমরা একটি খ্রিস্টান মূর্তি ভাঙছেন। আর অন্যটিতে তারা এক বালককে হত্যা করছে। সম্প্রতি ওই ভিডিও টুইট শেয়ার করে মুসলিম বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ব্রিটেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসব টুইটে সেদেশে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে না।
তবে, সম্প্রতি মসজিদে হামলার হুমকির পর এ বিষয়টি এখন বেশ স্পষ্ট। গত ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তথ্য মতে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের ওপর বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনা ১৯% বেড়েছে। ২০১৫ সালে মুসলিম বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনা রেকর্ড হয়েছে ২৫৭টি। গত বছর তা ৩০৭ এ দাড়িয়েছে।
যুক্তরাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরি, লেখাপড়া সব নানান কাজে লক্ষাধিক প্রবাসী বাঙ্গালি রয়েছেন। এদের সিংহ ভাগই মুসলমান। সাম্প্রতিক ঘটনায় কিছুটা হলেও সঙ্কিত তারা। তবে, সচেতনতা আর বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছায় ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি প্রবাসীদের।
যুক্তরাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরি, লেখাপড়া সব নানান কাজে লক্ষাধিক প্রবাসী বাঙ্গালি রয়েছেন। এদের সিংহ ভাগই মুসলমান। সাম্প্রতিক ঘটনায় কিছুটা হলেও সঙ্কিত তারা। তবে, সচেতনতা আর বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছায় ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি প্রবাসীদের।
No comments:
Post a Comment