কানাডা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত জীবন-মান সমৃদ্ধ একটি দেশ। কানাডা বর্তমানে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যেখানে প্রতিনিয়ত তাদের বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে জন্মহারও কমে যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। আর এখানেই দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনা। আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ কানাডায় বাংলাদেশিদের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন ভয়েস বাংলার সঙ্গে।
তিনি জানান, ২০১৮ সালকে কানাডায় দক্ষ কর্মীদের ইমিগ্রেশনের সেরা বছর বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ইমিগ্রেশন বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হোসাইন। তাই আগামী বছর তিন লাখের বেশি মানুষ বৈধভাবে কানাডায় বসবাসের সুযোগ পাবে। আর এই সুযোগ নিতে সঠিক নিয়মে আবেদন করতে হবে এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে। সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে সহজেই পাওয়া সম্ভব স্বপ্নের কানাডার স্থায়ী নাগরিকত্ব। কানাডা সরকার পরিচালিত বিভিন্ন প্রোগ্রামের মধ্যে আবেদনকারীরা যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।
এর মধ্যে অন্যতম হলো- এক্সপ্রেস এন্ট্রি – আমেরিকার সরকার এইচ ওয়ান বি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করার পর, বিপুল সংখ্যক দক্ষ ও যোগ্য পেশাজীবিদের ওয়েলফেয়ার দেশগুলোতে মাইগ্রেশনের শেষ ভরসাস্থল এখন কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রি। প্রোগ্রামটি মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। প্রভিন্সশনাল নমিনি প্রোগ্র্যাম (পিএনপি) – কানাডার মোট ১১ টা প্রোভিন্স ইমিগ্রেশন করার জন্য আবেদনকারীদের নমিনেশন দিতে পারে। একেক প্রভিন্স একেক সময়ে তাদের প্রোগ্রাম উন্মুক্ত করে দেয়।
সাধারণত প্রভিন্সশনাল প্রোগ্রাম এর শর্ত আলাদা হয়। ফেডারেল স্কিল্ড ট্রেড প্রোগ্রাম: রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডারদের মতো কিছু পেশাজীবীরা সরাসরি এই প্রোগ্রামের আওতায় আবেদন করে জবসহ ইমিগ্রেশন করতে পারে। তবে তাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেড স্কিল সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। যাদের কমপক্ষে এই যোগ্যতা রয়েছে যেমন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, নার্স, রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার, সেলসম্যান, হেলথ কেয়ার ম্যানেজার, একাউনটেন্ট পেশার লোকজন এখন তৈরি হন আবেদন করার জন্য। জানুয়ারী ২০১৮ সালে সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে প্রোগ্রামটি।
No comments:
Post a Comment