ব্রাজিলের বম জারদিম শহরের মেয়র লিদিয়ানে লেইতেকে অর্থ আত্মসাতের মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
নিজ শহর থেকে ১৮০ মাইল দূরে থেকেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ‘হোয়াটসঅ্যাপ’-এর মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালান বলে ২৭ বছর বয়সী লিদিয়ানে লেইতে ‘হোয়াটসঅ্যাপ মেয়র’ নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ অনলাইন ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় আড়াই বছর আগে শিক্ষা বাজেট থেকে অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় মেয়র লিদিয়ানে লেইতের ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিলের সবচেয়ে দরিদ্র শহর বম জারদিম। এই শহরে মাত্র ৪০ হাজার মানুষের বাস। এই শহরের স্কুলগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীদের একবেলা করে খাবার দেওয়ার জন্য বাজেট হয়েছিল। শিশু শিক্ষার্থীদের খাবার না দিয়ে ওই বাজেট থেকে দুই কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন মেয়র লিদিয়ান। সেই অর্থ দিয়েই তিনি বিলাসী জীবন যাপন করতেন। কর্তৃপক্ষ তাঁর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ঘেঁটে এর সত্যতা পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিলের সবচেয়ে দরিদ্র শহর বম জারদিম। এই শহরে মাত্র ৪০ হাজার মানুষের বাস। এই শহরের স্কুলগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীদের একবেলা করে খাবার দেওয়ার জন্য বাজেট হয়েছিল। শিশু শিক্ষার্থীদের খাবার না দিয়ে ওই বাজেট থেকে দুই কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন মেয়র লিদিয়ান। সেই অর্থ দিয়েই তিনি বিলাসী জীবন যাপন করতেন। কর্তৃপক্ষ তাঁর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ঘেঁটে এর সত্যতা পেয়েছে।
ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে লিদিয়ানে লিখেছিলেন, ‘মেয়র হওয়ার আগে আমি দরিদ্র ছিলাম। এখন আমার ল্যান্ড রোভার গাড়ি আছে, টয়োটা এসডব্লিউ ফোর মডেলের গাড়িও চালাই। সামনে হয়তো আরও দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে পারি। এসব করার জন্য এখন আমার কাছে প্রচুর অর্থ রয়েছে। আমি এখন যা খুশি কিনতে পারি। এ নিয়ে মানুষ কে কী বললেন, তা নিয়ে মাথা ঘামাই না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, লিদিয়ানে লেইতে এখন পলাতক। এরপরও তিনি ‘হোয়াটসঅ্যাপ’-এর মাধ্যমে মেয়রের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বম জারদিমের মেয়র ছিলেন লিদিয়ানের সাবেক প্রেমিক মেয়র হামবার্তো দান্তাস দোস সান্তোস। দুর্নীতির অভিযোগের কারণে ২০১২ সালে তাঁকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পরই লিদিয়ানে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হামবার্তো দান্তাস দোস সান্তোস বেটো রোচা নামেও পরিচিত। ২০১৫ সালে বেটো রোচা পদত্যাগ করেন। তাঁর ১৭ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড হয়। এর পরেই লিদিয়ানের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পায় কর্তৃপক্ষ। পলাতক থাকায় লিদিয়ানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
No comments:
Post a Comment